Sunday, March 9, 2014

বাংলায় একবাক্যে সকল অক্ষর ও যুক্তাক্ষর

এম এ জোবায়েরের মূল পোস্টটি এখানে সংগ্রহ করে রাখলাম। সামু থেকে কখন কী হারিয়ে যায়।


এক সাথে সব বাংলা অক্ষর ও যুক্তাক্ষর। ০৪ ঠা জুলাই, ২০১১ রাত ৮:০২ | শেয়ারঃ 00 ২০শে জুন বাংলা টাইপ অনুশীলন করার জন্য The quick brown fox jumps over the lazy dog এর মত কতগুলো পংতিমালা পোষ্ট করেছিলাম । ব্লগার সাকিব নূর আশরাফ খুজে বের করেছে যে "ঔ" অক্ষরটি লেখাটিতে নেই। সাকিব নূর আশরাফকে ধন্যবাদ। পংতি গুলোর লেখক "ঔ" সহ নুতন দুটি পংতি যোগ করেছেন। রিপোষ্ট করলাম। যারা বাংলা দ্রুত টাইপ করতে চান তাদের অনুশীলনে সাহায্য করবে।

হৃদয়ের চঞ্চলতা বন্ধে ব্রতী হলে
জীবন পরিপূর্ণ হবে নানা রঙের ফুলে।
কুঞ্ঝটিকা প্রভঞ্জন শঙ্কার কারণ
লণ্ডভণ্ড করে যায় ধরার অঙ্গন।
ক্ষিপ্ত হলে সাঙ্গ হবে বিজ্ঞজনে বলে
শান্ত হলে এ ব্রহ্মাণ্ডে বাঞ্ছিতফল মেলে।
আষাঢ়ে ঈশান কোনে হঠাৎ ঝড় উঠে
গগন মেঘেতে ঢাকে বৃষ্টি নামে মাঠে
ঊষার আকাশে নামে সন্ধ্যার ছায়া
ঐ দেখো থেমে গেছে পারাপারে খেয়া।
শরৎ ঋতুতে চাঁদ আলোয় অংশুমান
সুখ দুঃখ পাশা পাশি সহ অবস্থান।
যে জলেতে ঈশ্বর তৃষ্ণা মেটায়
সেই জলেতে জীবকুলে বিনাশ ঘটায়।
রোগ যদি দেহ ছেড়ে মনে গিয়ে ধরে
ঔষধের সাধ্য কি বা তারে সুস্থ করে ?

 (পংতিমালা গুলো জনাব শ্যামল চন্দ্র দাসের লেখা) সর্বশেষ এডিট : ১২ ই অক্টোবর, ২০১১ রাত ১২:০০ | বিষয়বস্তুর স্বত্বাধিকার ও সম্পূর্ণ দায় কেবলমাত্র প্রকাশকারীর…

গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্য-

স্বদেশ হাসনাইন বলেছেন: এক বাক্যে সব হরফ পাওয়াকে বলে প্যানগ্রাম । এর বাংলা কেউ বলে ধারক বাক্য আমি নাম দিয়েছিলাম পূর্ণমালা। বাংলায় যুক্তাক্ষরগুলো মূলত: মূল বর্ণের সমষ্টি যাদের হসন্ত দিয়ে যুক্ত করা হয়। যত ছোট হবে তত মনে রাখা সহজ।

মানুষের ডাকনাম, শব্দসংক্ষেপ, এক বর্ণ একাধিকবার না ব্যবহার করে প্যানগ্রাম বানানো আরও চ্যালেঞ্জের কাজ। বাংলায় এমন প্রচেষ্টা দেখা যায় মনোজকুমার মিত্রের লেখায়, খটমটে যদিও :
বিষণ্ণ ঔদাসীন্যে ঊষাবৌদি বাংলাভাষায় প্রচলিত নিখুঁত গল্পটি অর্ধেক বলতেই ঋতু ভুঁইঞা আর ঐন্দ্রিলা হৈহৈ করে উঠল-- ওঃ, থামো বুঝেছি বড্‌ডো পুরাণো ঢঙের গল্প-- মূঢ় আড়ম্বর ও আত্মশ্লাঘার ফল জীবনে বিঘ্ন ও বৃহৎ ক্ষতি-- এ নীতি যার না?( 'প্রসঙ্গ বাংলাভাষা' বইয়ে, 'বাংলা ইঞ্জিনিয়ারিং বর্ণমালা' প্রবন্ধে। বইটি ছাপা হয় ১৯৯৩ সালে, পশ্চিমবঙ্গ বাংলা আকাদেমি, কলকাতা থেকে (সূত্র)। অবশ্য মনোজকুমারও তিনটি নাম ব্যবহার করেছেন : ঊষা, ঋতু ভুঁইঞা এবং ঐন্দ্রিলা।)

ইন্টারনেটে ঘুরে ফিরে আসা দুটো প্যানগ্রাম জনপ্রিয় । এদের মধ্যে ছোটটি স্পেস সহ ১৮২ অক্ষরের এই সাধুভাষায় । কাব্যিক কম হওয়ায় টাইপ প্রশিক্ষণের জন্য এটি আমার পছন্দের । আর কোন ব্যক্তি বিশেষের নাম নেই।

মহারাজ ঊষাকালে বৃহৎ ঐরাবতে রাজপথের অর্ধেক প্রদক্ষিণ করতঃ হঠাত্‍ উক্তি করিলেন, “এই ঢোল‌ পাখোয়াজ, শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের ঝংকার ও সৌরভ মন্দ্রিত আড়ম্বরপূর্ন রঙিন জীবনের ছত্রতলে যে বিষণ্ণ দারিদ্র তাহা কি ঈষৎ ঔদাসীন্য, অপ্রচলিত বৈদেশিক নীতি নাকি বারভুঁইঞার সহিত পুরাণো এবং আত্মঘাতী ডামাডোলের ফসল?”

দ্বিতীয়টিতে "ওসমান" নামটি এসেছে। কিন্তু মন্দ না।

বর্ষামুখর দিন শেষে, ঊর্দ্ধপানে চেয়ে যখন আষাঢ়ে গল্প শোনাতে বসে ওসমান ভুঁইঞা, ঈষান কোণে তখন অন্ধকার মেঘের আড়ম্বর, সবুজে ঋদ্ধ বনভূমির নির্জনতা চিরে থেকে থেকে ঐরাবতের ডাক, মাটির উপর শুকনো পাতা ঝরে পড়ে ঔদাসীন্যে, এবং তারই ফাঁকে জমে থাকা ঢের পুরোনো গভীর দুঃখ হঠাৎ যেন বৃষ্টিতে ধুয়ে মুছে ধূসর জীবনে রঙধনু এনে দেয়।


Friday, February 14, 2014

বিন্দু ও রেখা

একটা সরল রেখা প্রেমে পড়ে গেল একটা বিন্দুর। কিন্তু তারপর? এই নিয়ে একটা ১৯৬৫ সালের অস্কারবিজয়ী অ্যানিমেশন। The Dot and the Line: A Romance in Lower Mathematics
http://www.youtube.com/watch?v=OmSbdvzbOzY

Wednesday, November 27, 2013

কর্মকাণ্ড ৫৫

আজকের দিনটা যে খুব ভালো গিয়েছে তা বলা যাচ্ছে না। সকালে উঠে পিয়ানো প্র্যাক্টিস করলাম কিছুক্ষণ। এর পর ল্যাবে গিয়ে জাফর স্যারের পদত্যাগ সংক্রান্ত খবর আর ব্লগপোস্ট ফলো করতে গিয়ে মেজাজটা বিগড়ে গেল। ফলে সারাদিন আর পড়ায় মন দিতে পারিনি।  সমাজসংসার থেকে নিজেকে মুক্ত করতে পারছি না যে কেন! সন্ধ্যায় আইসিআইটিএস কনফারেন্সের রিসেপশন ছিলো, সেখানে খেয়ে এসে ঘরে ফিরলাম। কাল সকাল থেকে কনফারেন্স টক অ্যাটএন্ড করতে হবে। আর নিজের টকের প্রিপারেশন নিতে হবে। ইনফিনাইট মানকি কেইজ এর নতুন সিজন শুরু হয়েছে। আজকে এই সিজনের দ্বিতীয় পর্ব শুনতে শুরু করেছি। গুরু অ্যালান মুর আছেন এই পর্বে। তিনি সাপ পুজারী।

সারাদিনের হাইলাইট হচ্ছে ছোটোবোনের ঢাকা ভার্সিটিতে চান্স পাওয়ার খবর। একটা দুঃশ্চিন্তা দূর হলো। ক্যাফেইন ইনটেক কমাতে হবে। টিনিটাস বেড়ে গেছে ভয়াবহ রকমে। ব্রেইনের অনেক অংশ গারবেজ দিয়ে ভরে গেছে। সেগুলোকে রিওয়ারিং করা দরকার। বাংলা পড়তে হবে বেশি বেশি। 

Friday, November 22, 2013

কর্মকাণ্ড ~৫৪

৫৪ এর আগে একটা টিল্ডা দিলাম। এটা বুঝাতে যে এটা আসলে ছদ্দ্ব ৫৪ তম পোস্ট।

আমি অতীত নিবাসী হয়ে উঠেছি আজকাল। সেদিন ভেবে দেখলাম, স্কুল কলেজ ভার্সিটিতে এত কম সুযোগ সুবিধা থাকা সত্তেও বিজ্ঞান শিখেছি, কত আগ্রহ নিয়ে পড়াশুনা করেছি তার মূল কারণ ছিলো ভবিষ্যতমূখিতা। সব সময় ভাবতাম, এগুলোই শেষ নয়। আপাতত এই অল্প রিসোর্সেই কাজ চালিয়ে নিতে হবে। এক সময় না এক সময় অনেক সুযোগসুবিধাওয়ালা যায়গায় কাজ করার সুযোগ হবেই।

তারপর বহু পথ মাড়িয়ে হাজির হয়েছি এখানে। বিশ্বসেরা সুযোগ সুবিধা। আর এখনই কি না, অতীতমূখি হয়ে পড়েছি। কাজ কর্ম কিছুই হচ্ছে না। সারাদিন কী কী হারিয়েছি তার তালিকা করি। আর হাই হুতাশ করি। চর্চা করে অর্জিত স্কিল, হারিয়ে গেলেও আবার চর্চা করেই ফেরত পাওয়া যায়। ইনহেরেন্ট কিছু হারিয়ে না গেলেই হলো।

অর্থবহ কথা সুন্দরকরে বলা বেশ কঠিন। রীতিমত চর্চা সাধনার ব্যাপার। ফলে রীতিমত প্রাজ্ঞ ব্যক্তিও কথাবলার সময় বেশিরভাগ সময়ই বাজে বকে। এই ব্যাপারটা ঠেকে শিখলাম আবার। এক সময় বেশিরভাগ মানুষের কথায় পাত্তাই দিতাম না। স্রেফ উন্নাসিকতাঘটিত কারণে। কিন্তু এখন নানান রকম ঘাত প্রতিঘাতের পরে বুঝেছি ব্যাপারটা ভালোই ছিলো। অপরিচিত কারো সাথে কথা হলে, সেই লোকটা অত্যন্ত চিন্তাশীল, এবং চিন্তার সুষ্ঠুপ্রকাশে পারংগম এমন হবার সম্ভাবনা খুবই কম। ফলে হঠাৎ কারো কথা গুরুত্ব দিয়ে শোনার সময় নেই। শুধু মাত্র, যে নিজেকে প্রমাণ করতে পেরেছে অন্তত আমার নিজস্ব কোনো মাপকাঠিতে, তার কথা শোনা যেতে পারে।

গবেষণাতেও কি তাই হয় না? কোনো বিজ্ঞানী কম সুযোগ সুবিধা নিয়েই বড় কিছু করে ফেললে তবেই না, ভালো ভালো যায়গায় গবেষণার সুযোগ পায়। বড় বড় ফান্ড পায়। ফান্ডিং এজেন্সি কি দলে দলে নতুন পিএইচডি ধারীদের ফান্ড দিয়ে বেড়ায়? এমনকি যাদের কোটিকোটিটাকা লস গেলেও কিছু যায় আসে না তারাও এটা করবে না। কিন্তু আমার জীবন নতিদীর্ঘ্য। তার উপর হয়তো আর অল্প কয় বছর অ্যাক্টিভ থাকতে পারবো। তার মানে বালছালের পিছনে সময় নষ্ট করা যাবে না। ব্রুটালি পরিত্যাগ করতে হবে। এসব ব্যাপারে নিজের জাজমেন্টের উপরই বেশি ভরসা করা উচিত।

সবাই যেমন গণিত সেন্স ভালো না। তেমনই সবার রাজনৈতিক সেন্সও ভালো হয় না। আর ঠিক এই ব্যাপারটাই ঘটেছে আমার ক্ষেত্রে। রাজনীতির গুরুত্ব আমি বুঝি কিন্তু এটাতে জড়ানোর, এর সমস্যা নিয়ে মাথাঘামানোর অ্যাপটিচিউড আমার নেই। এসব বিষয়ে যারা ভালো তাদের উপরই ছেড়ে দিতে হবে। আমাকে ফোকাস করতে হবে আমার স্বকীয় অংশে।

যাইহোক বকর বকর অনেক করলাম। এবার কর্মকান্ড-









Sunday, September 8, 2013

কর্মকাণ্ড ৫৩

আজ দিনটা শুরু হলো অদ্ভুত ভাবে। ঘুম থেকে উঠে দেখি আমার গুগল ক্যালেন্ডারে রহস্যময় একটা ইভেন্ট। প্লিজ আই নিড ইউর হেল্প নামে। পরে দেখা গেল এটা একটা স্পাম। অফিসে এসে আজ গিটার বাজালাম। ১৮ নাম্বার প্র্যাক্টিস শিট টা প্রিন্ট করে আবার তুললাম। শরের, স্টাডি ইন সি এর ৩১ এর ১ বাজাতে গিয়ে অবস্থা কাহিল। মাত্র কয়েক মেজার তুলতে পেরেছি তাও হচ্ছে না। দেখি কাল, বেজগুলো বাদে প্র্যাক্টিস করতে হবে। ফাইনম্যানকে নিয়ে বসা হলো না আজও। অবশ্য থ্রিমেন ইন আ বোট পড়া হয়েছে সকালে খানিকটা। নতুন তথ্য জানা গেল। নিউরো সাইটিস্টরা গবেষণা করে বের করেছে, শরীরে আলতোভাবে হাত বা আঙুল বোলানোর অপটিমাল স্পিড হচ্ছে ৫ সেন্টিমিটার প্রতিসেকেন্ড। 

Friday, September 6, 2013

কর্মকাণ্ড ৫২

আজকদিন সকালে প্রচণ্ড বৃষ্টি হচ্ছে। দেশের বর্ষাকালের মত। ঝুম ঝুম টানা বৃষ্টি। ঘুম থেকে উঠে গল্পের বই পড়তে ইচ্ছে হয় তাই। পড়িও। আজ জেমন ড্যান ব্রাউনের ইনফার্ণো পড়লাম। অর্ধেকটা পড়া হয়েছে। গতিময় বই। কিন্তু অনেক আর্ট হিস্ট্রি, আর স্থানের বর্ণনায় ভরা। মাঝে মধ্যে গুগল করে বর্ণিত স্থান, চিত্রকলা, এসব দেখে নিচ্ছি।

একটা মজার জিনিস হলো, কোনো সিকুয়েন্সে, বর্ণনা না পড়ে শুধু কথপোকথনগুলো পড়লেই মূল কাহিনি ধরা যাবে বেশিরভাগ সময়। অনেক চিত্রকলা, স্থাপত্য, ভাস্কর্য এসবের বর্ণনা ইতিহাস স্রেফ বর্ণনার খাতিরেই দেওয়া। অল্প কিছু বাদে। যাই হোক। আজ এছাড়া আর কোনো কাজ হলো না। এন্ডার'স গেমের একটা রিভিউ লিখেছি অবশ্য।

Tuesday, September 3, 2013

কর্মকাণ্ড ৫১

GRP রিপোর্ট জমা দিয়েছি। এর পর দুটো গল্পের বই পড়া হলো। টেরি প্রাচেটের স্মল গড্স, এবং ওরাসন স্কট কার্ডের এন্ডারস গেম। দুটো বই-ই মাস্টারপিস। উডিএলেনের একটা মুভিও দেখলাম। স্লিপার। সাইন্সফিকশন কমেডি।