Wednesday, November 27, 2013

কর্মকাণ্ড ৫৫

আজকের দিনটা যে খুব ভালো গিয়েছে তা বলা যাচ্ছে না। সকালে উঠে পিয়ানো প্র্যাক্টিস করলাম কিছুক্ষণ। এর পর ল্যাবে গিয়ে জাফর স্যারের পদত্যাগ সংক্রান্ত খবর আর ব্লগপোস্ট ফলো করতে গিয়ে মেজাজটা বিগড়ে গেল। ফলে সারাদিন আর পড়ায় মন দিতে পারিনি।  সমাজসংসার থেকে নিজেকে মুক্ত করতে পারছি না যে কেন! সন্ধ্যায় আইসিআইটিএস কনফারেন্সের রিসেপশন ছিলো, সেখানে খেয়ে এসে ঘরে ফিরলাম। কাল সকাল থেকে কনফারেন্স টক অ্যাটএন্ড করতে হবে। আর নিজের টকের প্রিপারেশন নিতে হবে। ইনফিনাইট মানকি কেইজ এর নতুন সিজন শুরু হয়েছে। আজকে এই সিজনের দ্বিতীয় পর্ব শুনতে শুরু করেছি। গুরু অ্যালান মুর আছেন এই পর্বে। তিনি সাপ পুজারী।

সারাদিনের হাইলাইট হচ্ছে ছোটোবোনের ঢাকা ভার্সিটিতে চান্স পাওয়ার খবর। একটা দুঃশ্চিন্তা দূর হলো। ক্যাফেইন ইনটেক কমাতে হবে। টিনিটাস বেড়ে গেছে ভয়াবহ রকমে। ব্রেইনের অনেক অংশ গারবেজ দিয়ে ভরে গেছে। সেগুলোকে রিওয়ারিং করা দরকার। বাংলা পড়তে হবে বেশি বেশি। 

Friday, November 22, 2013

কর্মকাণ্ড ~৫৪

৫৪ এর আগে একটা টিল্ডা দিলাম। এটা বুঝাতে যে এটা আসলে ছদ্দ্ব ৫৪ তম পোস্ট।

আমি অতীত নিবাসী হয়ে উঠেছি আজকাল। সেদিন ভেবে দেখলাম, স্কুল কলেজ ভার্সিটিতে এত কম সুযোগ সুবিধা থাকা সত্তেও বিজ্ঞান শিখেছি, কত আগ্রহ নিয়ে পড়াশুনা করেছি তার মূল কারণ ছিলো ভবিষ্যতমূখিতা। সব সময় ভাবতাম, এগুলোই শেষ নয়। আপাতত এই অল্প রিসোর্সেই কাজ চালিয়ে নিতে হবে। এক সময় না এক সময় অনেক সুযোগসুবিধাওয়ালা যায়গায় কাজ করার সুযোগ হবেই।

তারপর বহু পথ মাড়িয়ে হাজির হয়েছি এখানে। বিশ্বসেরা সুযোগ সুবিধা। আর এখনই কি না, অতীতমূখি হয়ে পড়েছি। কাজ কর্ম কিছুই হচ্ছে না। সারাদিন কী কী হারিয়েছি তার তালিকা করি। আর হাই হুতাশ করি। চর্চা করে অর্জিত স্কিল, হারিয়ে গেলেও আবার চর্চা করেই ফেরত পাওয়া যায়। ইনহেরেন্ট কিছু হারিয়ে না গেলেই হলো।

অর্থবহ কথা সুন্দরকরে বলা বেশ কঠিন। রীতিমত চর্চা সাধনার ব্যাপার। ফলে রীতিমত প্রাজ্ঞ ব্যক্তিও কথাবলার সময় বেশিরভাগ সময়ই বাজে বকে। এই ব্যাপারটা ঠেকে শিখলাম আবার। এক সময় বেশিরভাগ মানুষের কথায় পাত্তাই দিতাম না। স্রেফ উন্নাসিকতাঘটিত কারণে। কিন্তু এখন নানান রকম ঘাত প্রতিঘাতের পরে বুঝেছি ব্যাপারটা ভালোই ছিলো। অপরিচিত কারো সাথে কথা হলে, সেই লোকটা অত্যন্ত চিন্তাশীল, এবং চিন্তার সুষ্ঠুপ্রকাশে পারংগম এমন হবার সম্ভাবনা খুবই কম। ফলে হঠাৎ কারো কথা গুরুত্ব দিয়ে শোনার সময় নেই। শুধু মাত্র, যে নিজেকে প্রমাণ করতে পেরেছে অন্তত আমার নিজস্ব কোনো মাপকাঠিতে, তার কথা শোনা যেতে পারে।

গবেষণাতেও কি তাই হয় না? কোনো বিজ্ঞানী কম সুযোগ সুবিধা নিয়েই বড় কিছু করে ফেললে তবেই না, ভালো ভালো যায়গায় গবেষণার সুযোগ পায়। বড় বড় ফান্ড পায়। ফান্ডিং এজেন্সি কি দলে দলে নতুন পিএইচডি ধারীদের ফান্ড দিয়ে বেড়ায়? এমনকি যাদের কোটিকোটিটাকা লস গেলেও কিছু যায় আসে না তারাও এটা করবে না। কিন্তু আমার জীবন নতিদীর্ঘ্য। তার উপর হয়তো আর অল্প কয় বছর অ্যাক্টিভ থাকতে পারবো। তার মানে বালছালের পিছনে সময় নষ্ট করা যাবে না। ব্রুটালি পরিত্যাগ করতে হবে। এসব ব্যাপারে নিজের জাজমেন্টের উপরই বেশি ভরসা করা উচিত।

সবাই যেমন গণিত সেন্স ভালো না। তেমনই সবার রাজনৈতিক সেন্সও ভালো হয় না। আর ঠিক এই ব্যাপারটাই ঘটেছে আমার ক্ষেত্রে। রাজনীতির গুরুত্ব আমি বুঝি কিন্তু এটাতে জড়ানোর, এর সমস্যা নিয়ে মাথাঘামানোর অ্যাপটিচিউড আমার নেই। এসব বিষয়ে যারা ভালো তাদের উপরই ছেড়ে দিতে হবে। আমাকে ফোকাস করতে হবে আমার স্বকীয় অংশে।

যাইহোক বকর বকর অনেক করলাম। এবার কর্মকান্ড-