Saturday, March 15, 2014

শেখার স্ট্যাক

Solving system of differential equations
Mechanics for Rotating Coordinate System
15-03-2014

ত্বরণতালিকা

দিন ১
বিকাল ৩ টা।
দু ঘন্টা পড়তেই কেমন যেন হাফিয়ে উঠলাম। কফিটফি খেয়ে এখন আবার ব্লগিং করছি। আগের দু ঘন্টা খুব একটা ইফিশিয়েন্ট ব্যবহার হয়নি। কিন্তু একদম কিছু না হবার চেয়ে ভালো।

বিকাল ৩:৩০
ফেসবুকিং করলাম গত আধা ঘন্টা! এভাবে চলতে পারে না।

বিকাল ৫:২৫
পড়াশুনা করলাম ২ ঘন্টা। বোঝাই যাচ্ছে, মাঝের গ্যাপ বেশি হয়ে যাচ্ছে। টানা ৩ ঘন্টার বেশি পড়তে পারা উচিৎ। ফ্লো আসতেই তো ১ ঘন্টা লাগে। যদিও আজ ফ্লো স্টেটে পৌছতে পারিনি। এখন যাচ্ছি সাঁতারে।

বিকাল 6:55
একটুকরো পিটসা খেয়ে বসলাম অ্যামোনিয়া মেজার নিয়ে। কম্পিউটারে বাজছে বিটলসের Let It Be.

রাত ৯:৫০
সত্যজিৎ রায়ের উপর একটা ডকু দেখছি।


এই লিংকে হাজির হয়েছি ফেসবুকের কল্যানে। Ray at work  নামক একটা বই ছিলো সত্যজিৎএর স্ত্রীর লেখা। সেই বই ফ্লাপের লেখা থেকে। বইটা অনলাইনে খুঁজে পেলে খুবভালো হতো। সত্যজিৎ রায়ের কাজের প্রতি একাগ্রতা বিষয়ে। নিলয় নন্দীর অনুবাদে,

“যখন প্রায় সারাটা জীবন একজন মানুষ আমার সঙ্গী, বন্ধু এবং স্বামী হিসেবে কাটিয়ে চলে গেলেন, তাঁর অনুপস্থিতিতে জীবনটা অর্থহীন হয়ে পড়ে।"

"কাজের প্রতি তাঁর মনোসংযোগ ছিল অসাধারণ। আত্মগরিমা তেমন ছিল না। দু’ হাত বাড়িয়ে তিনি সব রকম মানুষকে কাছে টেনে নিয়েছেন। কত সময় তাঁকে দেখেছি এক ঘর মানুষের সাথে চেয়ারে বসে গল্প করছেন, হাসছেন আর তাঁর বিখ্যাত লাল নোটখাতা কোলের ওপর মেলে রাখা। মুখে কথা বলছেন আর এদিকে লিখে চলেছেন একনাগাড়ে। এই নিয়ে তাঁকে জিজ্ঞেসও করেছিলাম এক বার, উনি বললেন এক সাথে দু’টি বা তিনটি কাজ করার কৌশল তিনি অনেক আগেই শিখে নিয়েছেন। এটা করতে তাঁর মোটেও কষ্ট হয় না।”
-- বিজয়া রায়


Always being politically correct means just one thing, you are living with identity crisis. Politics doesn't define you, you define politics, that's the beauty of democracy.

দিন ২
সকালে উঠেই কেভ অফ ফরগটেন ড্রিমস দেখলাম। ৩০ হাজার বছর আগের মানুষেরা ছবি একে গেছে শভি গুহায়। এবং প্রতিটা ছবিই মাস্টারপিস। কোনো অপরিনত মানুষের এলোমেলো আঁকিবুকি নয়। যে মুন্সিয়ানার ছাপ আছে ছবিগুলোতে তার তুলনা হয় না।

এরপর কসমস দেখা হয়েছে তৃতীয় পর্বটা। নিউটনের প্রিন্সিপিয়া বইটার প্রকাশ নিয়েই গল্প। এডমন্ড হ্যালি সম্পর্কে জানলাম। কী অভাবনীয় প্রাণশক্তির অধিকারী ছিলেন। এমন পরিশ্রমী যদি হতে পারতাম। :(

পিয়ানো বাজিয়েছি এর পর কিছুক্ষণ। নতুন একটা ওয়াল্টজ টিউন তুলতেই পারছি না। বিশেষ করে রিদম এ সমস্যা হয়ে যাচ্ছে বারবার। আরো মনযোগ লাগবে।

এখন বাজে
দুপুর ২ টা। পড়তে শুরু করবো। ভন নয়ম্যান এন্ট্রপি নিয়ে। 


Friday, March 14, 2014

আঁকতে চাই

যে ছবিগুলো আঁকতে চাই,

১) কমপ্লিকেটেড মেগা স্ট্রাকচার। সাইন্সফিকশন অথবা স্টিম পাঙ্ক টাইপ।
২) গিঞ্জিডিজাইন। আলপনাটাইপ।
৩) কলমের দাগে শহরের স্কেচ। এখানে সেখানে জল রঙের ছোপ।
৪) অল্প দাগে পোট্রেট।
৫) পাখি। বার্ডস অফ প্যারাডাইস। মানে পাপুয়ানিউগিনির পাখি।
৬) রহস্যময় ইলাস্ট্রেশন। দেখে মনে হবে কিছু একটা ঘটতে চলেছে। কোনো থ্রিলার গল্পের ইলাস্ট্রেশন বুঝি।
৭) মারি সেন্ডাকের মত শিশু। মিতুলের গল্পগুলোর জন্য। 

Monday, March 10, 2014

জুদ্দে জাবো

সংগ্রহে রাখার মত একটা কবিতা!! :D

@জুদ্দে জাবো @
জুদ্দে জাবো গো বৌ
বনদুকখানা দেও ,
জুদ্দে জাবো সবাই
আটকাইঅ না কেও ।
জুদ্দে জাবো
মযলুম নেতার জীবন বাচাব আমরা ,
জুদ্দে জেয়ে
নাষ্তিকদের বুক ধরে কামড়া ।
জুদ্দে জাবো
রাজপতকে করে দিব লাল
জুদ্দে জেয়ে
জালিমের মাথায় বাংবো কাঠাল ।
জুদ্দে জাবো মেশিন নিয়ে
রকতো রকতো খেলা ,
জুদ্দ হবে
প্রিয় নেতার আসল মীলনমেলা ।
@কবি আবদুল বাসেত@
@অবিমানী মন নিয়ে লেখা@


Sunday, March 9, 2014

বাংলায় একবাক্যে সকল অক্ষর ও যুক্তাক্ষর

এম এ জোবায়েরের মূল পোস্টটি এখানে সংগ্রহ করে রাখলাম। সামু থেকে কখন কী হারিয়ে যায়।


এক সাথে সব বাংলা অক্ষর ও যুক্তাক্ষর। ০৪ ঠা জুলাই, ২০১১ রাত ৮:০২ | শেয়ারঃ 00 ২০শে জুন বাংলা টাইপ অনুশীলন করার জন্য The quick brown fox jumps over the lazy dog এর মত কতগুলো পংতিমালা পোষ্ট করেছিলাম । ব্লগার সাকিব নূর আশরাফ খুজে বের করেছে যে "ঔ" অক্ষরটি লেখাটিতে নেই। সাকিব নূর আশরাফকে ধন্যবাদ। পংতি গুলোর লেখক "ঔ" সহ নুতন দুটি পংতি যোগ করেছেন। রিপোষ্ট করলাম। যারা বাংলা দ্রুত টাইপ করতে চান তাদের অনুশীলনে সাহায্য করবে।

হৃদয়ের চঞ্চলতা বন্ধে ব্রতী হলে
জীবন পরিপূর্ণ হবে নানা রঙের ফুলে।
কুঞ্ঝটিকা প্রভঞ্জন শঙ্কার কারণ
লণ্ডভণ্ড করে যায় ধরার অঙ্গন।
ক্ষিপ্ত হলে সাঙ্গ হবে বিজ্ঞজনে বলে
শান্ত হলে এ ব্রহ্মাণ্ডে বাঞ্ছিতফল মেলে।
আষাঢ়ে ঈশান কোনে হঠাৎ ঝড় উঠে
গগন মেঘেতে ঢাকে বৃষ্টি নামে মাঠে
ঊষার আকাশে নামে সন্ধ্যার ছায়া
ঐ দেখো থেমে গেছে পারাপারে খেয়া।
শরৎ ঋতুতে চাঁদ আলোয় অংশুমান
সুখ দুঃখ পাশা পাশি সহ অবস্থান।
যে জলেতে ঈশ্বর তৃষ্ণা মেটায়
সেই জলেতে জীবকুলে বিনাশ ঘটায়।
রোগ যদি দেহ ছেড়ে মনে গিয়ে ধরে
ঔষধের সাধ্য কি বা তারে সুস্থ করে ?

 (পংতিমালা গুলো জনাব শ্যামল চন্দ্র দাসের লেখা) সর্বশেষ এডিট : ১২ ই অক্টোবর, ২০১১ রাত ১২:০০ | বিষয়বস্তুর স্বত্বাধিকার ও সম্পূর্ণ দায় কেবলমাত্র প্রকাশকারীর…

গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্য-

স্বদেশ হাসনাইন বলেছেন: এক বাক্যে সব হরফ পাওয়াকে বলে প্যানগ্রাম । এর বাংলা কেউ বলে ধারক বাক্য আমি নাম দিয়েছিলাম পূর্ণমালা। বাংলায় যুক্তাক্ষরগুলো মূলত: মূল বর্ণের সমষ্টি যাদের হসন্ত দিয়ে যুক্ত করা হয়। যত ছোট হবে তত মনে রাখা সহজ।

মানুষের ডাকনাম, শব্দসংক্ষেপ, এক বর্ণ একাধিকবার না ব্যবহার করে প্যানগ্রাম বানানো আরও চ্যালেঞ্জের কাজ। বাংলায় এমন প্রচেষ্টা দেখা যায় মনোজকুমার মিত্রের লেখায়, খটমটে যদিও :
বিষণ্ণ ঔদাসীন্যে ঊষাবৌদি বাংলাভাষায় প্রচলিত নিখুঁত গল্পটি অর্ধেক বলতেই ঋতু ভুঁইঞা আর ঐন্দ্রিলা হৈহৈ করে উঠল-- ওঃ, থামো বুঝেছি বড্‌ডো পুরাণো ঢঙের গল্প-- মূঢ় আড়ম্বর ও আত্মশ্লাঘার ফল জীবনে বিঘ্ন ও বৃহৎ ক্ষতি-- এ নীতি যার না?( 'প্রসঙ্গ বাংলাভাষা' বইয়ে, 'বাংলা ইঞ্জিনিয়ারিং বর্ণমালা' প্রবন্ধে। বইটি ছাপা হয় ১৯৯৩ সালে, পশ্চিমবঙ্গ বাংলা আকাদেমি, কলকাতা থেকে (সূত্র)। অবশ্য মনোজকুমারও তিনটি নাম ব্যবহার করেছেন : ঊষা, ঋতু ভুঁইঞা এবং ঐন্দ্রিলা।)

ইন্টারনেটে ঘুরে ফিরে আসা দুটো প্যানগ্রাম জনপ্রিয় । এদের মধ্যে ছোটটি স্পেস সহ ১৮২ অক্ষরের এই সাধুভাষায় । কাব্যিক কম হওয়ায় টাইপ প্রশিক্ষণের জন্য এটি আমার পছন্দের । আর কোন ব্যক্তি বিশেষের নাম নেই।

মহারাজ ঊষাকালে বৃহৎ ঐরাবতে রাজপথের অর্ধেক প্রদক্ষিণ করতঃ হঠাত্‍ উক্তি করিলেন, “এই ঢোল‌ পাখোয়াজ, শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের ঝংকার ও সৌরভ মন্দ্রিত আড়ম্বরপূর্ন রঙিন জীবনের ছত্রতলে যে বিষণ্ণ দারিদ্র তাহা কি ঈষৎ ঔদাসীন্য, অপ্রচলিত বৈদেশিক নীতি নাকি বারভুঁইঞার সহিত পুরাণো এবং আত্মঘাতী ডামাডোলের ফসল?”

দ্বিতীয়টিতে "ওসমান" নামটি এসেছে। কিন্তু মন্দ না।

বর্ষামুখর দিন শেষে, ঊর্দ্ধপানে চেয়ে যখন আষাঢ়ে গল্প শোনাতে বসে ওসমান ভুঁইঞা, ঈষান কোণে তখন অন্ধকার মেঘের আড়ম্বর, সবুজে ঋদ্ধ বনভূমির নির্জনতা চিরে থেকে থেকে ঐরাবতের ডাক, মাটির উপর শুকনো পাতা ঝরে পড়ে ঔদাসীন্যে, এবং তারই ফাঁকে জমে থাকা ঢের পুরোনো গভীর দুঃখ হঠাৎ যেন বৃষ্টিতে ধুয়ে মুছে ধূসর জীবনে রঙধনু এনে দেয়।