এম এ জোবায়েরের মূল পোস্টটি এখানে সংগ্রহ করে রাখলাম। সামু থেকে কখন কী হারিয়ে যায়।
এক সাথে সব বাংলা অক্ষর ও যুক্তাক্ষর। ০৪ ঠা জুলাই, ২০১১ রাত ৮:০২ | শেয়ারঃ 00 ২০শে জুন বাংলা টাইপ অনুশীলন করার জন্য The quick brown fox jumps over the lazy dog এর মত কতগুলো পংতিমালা পোষ্ট করেছিলাম । ব্লগার সাকিব নূর আশরাফ খুজে বের করেছে যে "ঔ" অক্ষরটি লেখাটিতে নেই। সাকিব নূর আশরাফকে ধন্যবাদ। পংতি গুলোর লেখক "ঔ" সহ নুতন দুটি পংতি যোগ করেছেন। রিপোষ্ট করলাম। যারা বাংলা দ্রুত টাইপ করতে চান তাদের অনুশীলনে সাহায্য করবে।
হৃদয়ের চঞ্চলতা বন্ধে ব্রতী হলে
জীবন পরিপূর্ণ হবে নানা রঙের ফুলে।
কুঞ্ঝটিকা প্রভঞ্জন শঙ্কার কারণ
লণ্ডভণ্ড করে যায় ধরার অঙ্গন।
ক্ষিপ্ত হলে সাঙ্গ হবে বিজ্ঞজনে বলে
শান্ত হলে এ ব্রহ্মাণ্ডে বাঞ্ছিতফল মেলে।
আষাঢ়ে ঈশান কোনে হঠাৎ ঝড় উঠে
গগন মেঘেতে ঢাকে বৃষ্টি নামে মাঠে
ঊষার আকাশে নামে সন্ধ্যার ছায়া
ঐ দেখো থেমে গেছে পারাপারে খেয়া।
শরৎ ঋতুতে চাঁদ আলোয় অংশুমান
সুখ দুঃখ পাশা পাশি সহ অবস্থান।
যে জলেতে ঈশ্বর তৃষ্ণা মেটায়
সেই জলেতে জীবকুলে বিনাশ ঘটায়।
রোগ যদি দেহ ছেড়ে মনে গিয়ে ধরে
ঔষধের সাধ্য কি বা তারে সুস্থ করে ?
(পংতিমালা গুলো জনাব শ্যামল চন্দ্র দাসের লেখা) সর্বশেষ এডিট : ১২ ই অক্টোবর, ২০১১ রাত ১২:০০ | বিষয়বস্তুর স্বত্বাধিকার ও সম্পূর্ণ দায় কেবলমাত্র প্রকাশকারীর…
গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্য-
স্বদেশ হাসনাইন বলেছেন: এক বাক্যে সব হরফ পাওয়াকে বলে প্যানগ্রাম । এর বাংলা কেউ বলে ধারক বাক্য আমি নাম দিয়েছিলাম পূর্ণমালা। বাংলায় যুক্তাক্ষরগুলো মূলত: মূল বর্ণের সমষ্টি যাদের হসন্ত দিয়ে যুক্ত করা হয়। যত ছোট হবে তত মনে রাখা সহজ।
মানুষের ডাকনাম, শব্দসংক্ষেপ, এক বর্ণ একাধিকবার না ব্যবহার করে প্যানগ্রাম বানানো আরও চ্যালেঞ্জের কাজ। বাংলায় এমন প্রচেষ্টা দেখা যায় মনোজকুমার মিত্রের লেখায়, খটমটে যদিও :
বিষণ্ণ ঔদাসীন্যে ঊষাবৌদি বাংলাভাষায় প্রচলিত নিখুঁত গল্পটি অর্ধেক বলতেই ঋতু ভুঁইঞা আর ঐন্দ্রিলা হৈহৈ করে উঠল-- ওঃ, থামো বুঝেছি বড্ডো পুরাণো ঢঙের গল্প-- মূঢ় আড়ম্বর ও আত্মশ্লাঘার ফল জীবনে বিঘ্ন ও বৃহৎ ক্ষতি-- এ নীতি যার না?( 'প্রসঙ্গ বাংলাভাষা' বইয়ে, 'বাংলা ইঞ্জিনিয়ারিং বর্ণমালা' প্রবন্ধে। বইটি ছাপা হয় ১৯৯৩ সালে, পশ্চিমবঙ্গ বাংলা আকাদেমি, কলকাতা থেকে (সূত্র)। অবশ্য মনোজকুমারও তিনটি নাম ব্যবহার করেছেন : ঊষা, ঋতু ভুঁইঞা এবং ঐন্দ্রিলা।)
ইন্টারনেটে ঘুরে ফিরে আসা দুটো প্যানগ্রাম জনপ্রিয় । এদের মধ্যে ছোটটি স্পেস সহ ১৮২ অক্ষরের এই সাধুভাষায় । কাব্যিক কম হওয়ায় টাইপ প্রশিক্ষণের জন্য এটি আমার পছন্দের । আর কোন ব্যক্তি বিশেষের নাম নেই।
মহারাজ ঊষাকালে বৃহৎ ঐরাবতে রাজপথের অর্ধেক প্রদক্ষিণ করতঃ হঠাত্ উক্তি করিলেন, “এই ঢোল পাখোয়াজ, শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের ঝংকার ও সৌরভ মন্দ্রিত আড়ম্বরপূর্ন রঙিন জীবনের ছত্রতলে যে বিষণ্ণ দারিদ্র তাহা কি ঈষৎ ঔদাসীন্য, অপ্রচলিত বৈদেশিক নীতি নাকি বারভুঁইঞার সহিত পুরাণো এবং আত্মঘাতী ডামাডোলের ফসল?”
দ্বিতীয়টিতে "ওসমান" নামটি এসেছে। কিন্তু মন্দ না।
বর্ষামুখর দিন শেষে, ঊর্দ্ধপানে চেয়ে যখন আষাঢ়ে গল্প শোনাতে বসে ওসমান ভুঁইঞা, ঈষান কোণে তখন অন্ধকার মেঘের আড়ম্বর, সবুজে ঋদ্ধ বনভূমির নির্জনতা চিরে থেকে থেকে ঐরাবতের ডাক, মাটির উপর শুকনো পাতা ঝরে পড়ে ঔদাসীন্যে, এবং তারই ফাঁকে জমে থাকা ঢের পুরোনো গভীর দুঃখ হঠাৎ যেন বৃষ্টিতে ধুয়ে মুছে ধূসর জীবনে রঙধনু এনে দেয়।
এক সাথে সব বাংলা অক্ষর ও যুক্তাক্ষর। ০৪ ঠা জুলাই, ২০১১ রাত ৮:০২ | শেয়ারঃ 00 ২০শে জুন বাংলা টাইপ অনুশীলন করার জন্য The quick brown fox jumps over the lazy dog এর মত কতগুলো পংতিমালা পোষ্ট করেছিলাম । ব্লগার সাকিব নূর আশরাফ খুজে বের করেছে যে "ঔ" অক্ষরটি লেখাটিতে নেই। সাকিব নূর আশরাফকে ধন্যবাদ। পংতি গুলোর লেখক "ঔ" সহ নুতন দুটি পংতি যোগ করেছেন। রিপোষ্ট করলাম। যারা বাংলা দ্রুত টাইপ করতে চান তাদের অনুশীলনে সাহায্য করবে।
হৃদয়ের চঞ্চলতা বন্ধে ব্রতী হলে
জীবন পরিপূর্ণ হবে নানা রঙের ফুলে।
কুঞ্ঝটিকা প্রভঞ্জন শঙ্কার কারণ
লণ্ডভণ্ড করে যায় ধরার অঙ্গন।
ক্ষিপ্ত হলে সাঙ্গ হবে বিজ্ঞজনে বলে
শান্ত হলে এ ব্রহ্মাণ্ডে বাঞ্ছিতফল মেলে।
আষাঢ়ে ঈশান কোনে হঠাৎ ঝড় উঠে
গগন মেঘেতে ঢাকে বৃষ্টি নামে মাঠে
ঊষার আকাশে নামে সন্ধ্যার ছায়া
ঐ দেখো থেমে গেছে পারাপারে খেয়া।
শরৎ ঋতুতে চাঁদ আলোয় অংশুমান
সুখ দুঃখ পাশা পাশি সহ অবস্থান।
যে জলেতে ঈশ্বর তৃষ্ণা মেটায়
সেই জলেতে জীবকুলে বিনাশ ঘটায়।
রোগ যদি দেহ ছেড়ে মনে গিয়ে ধরে
ঔষধের সাধ্য কি বা তারে সুস্থ করে ?
(পংতিমালা গুলো জনাব শ্যামল চন্দ্র দাসের লেখা) সর্বশেষ এডিট : ১২ ই অক্টোবর, ২০১১ রাত ১২:০০ | বিষয়বস্তুর স্বত্বাধিকার ও সম্পূর্ণ দায় কেবলমাত্র প্রকাশকারীর…
গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্য-
স্বদেশ হাসনাইন বলেছেন: এক বাক্যে সব হরফ পাওয়াকে বলে প্যানগ্রাম । এর বাংলা কেউ বলে ধারক বাক্য আমি নাম দিয়েছিলাম পূর্ণমালা। বাংলায় যুক্তাক্ষরগুলো মূলত: মূল বর্ণের সমষ্টি যাদের হসন্ত দিয়ে যুক্ত করা হয়। যত ছোট হবে তত মনে রাখা সহজ।
মানুষের ডাকনাম, শব্দসংক্ষেপ, এক বর্ণ একাধিকবার না ব্যবহার করে প্যানগ্রাম বানানো আরও চ্যালেঞ্জের কাজ। বাংলায় এমন প্রচেষ্টা দেখা যায় মনোজকুমার মিত্রের লেখায়, খটমটে যদিও :
বিষণ্ণ ঔদাসীন্যে ঊষাবৌদি বাংলাভাষায় প্রচলিত নিখুঁত গল্পটি অর্ধেক বলতেই ঋতু ভুঁইঞা আর ঐন্দ্রিলা হৈহৈ করে উঠল-- ওঃ, থামো বুঝেছি বড্ডো পুরাণো ঢঙের গল্প-- মূঢ় আড়ম্বর ও আত্মশ্লাঘার ফল জীবনে বিঘ্ন ও বৃহৎ ক্ষতি-- এ নীতি যার না?( 'প্রসঙ্গ বাংলাভাষা' বইয়ে, 'বাংলা ইঞ্জিনিয়ারিং বর্ণমালা' প্রবন্ধে। বইটি ছাপা হয় ১৯৯৩ সালে, পশ্চিমবঙ্গ বাংলা আকাদেমি, কলকাতা থেকে (সূত্র)। অবশ্য মনোজকুমারও তিনটি নাম ব্যবহার করেছেন : ঊষা, ঋতু ভুঁইঞা এবং ঐন্দ্রিলা।)
ইন্টারনেটে ঘুরে ফিরে আসা দুটো প্যানগ্রাম জনপ্রিয় । এদের মধ্যে ছোটটি স্পেস সহ ১৮২ অক্ষরের এই সাধুভাষায় । কাব্যিক কম হওয়ায় টাইপ প্রশিক্ষণের জন্য এটি আমার পছন্দের । আর কোন ব্যক্তি বিশেষের নাম নেই।
মহারাজ ঊষাকালে বৃহৎ ঐরাবতে রাজপথের অর্ধেক প্রদক্ষিণ করতঃ হঠাত্ উক্তি করিলেন, “এই ঢোল পাখোয়াজ, শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের ঝংকার ও সৌরভ মন্দ্রিত আড়ম্বরপূর্ন রঙিন জীবনের ছত্রতলে যে বিষণ্ণ দারিদ্র তাহা কি ঈষৎ ঔদাসীন্য, অপ্রচলিত বৈদেশিক নীতি নাকি বারভুঁইঞার সহিত পুরাণো এবং আত্মঘাতী ডামাডোলের ফসল?”
দ্বিতীয়টিতে "ওসমান" নামটি এসেছে। কিন্তু মন্দ না।
বর্ষামুখর দিন শেষে, ঊর্দ্ধপানে চেয়ে যখন আষাঢ়ে গল্প শোনাতে বসে ওসমান ভুঁইঞা, ঈষান কোণে তখন অন্ধকার মেঘের আড়ম্বর, সবুজে ঋদ্ধ বনভূমির নির্জনতা চিরে থেকে থেকে ঐরাবতের ডাক, মাটির উপর শুকনো পাতা ঝরে পড়ে ঔদাসীন্যে, এবং তারই ফাঁকে জমে থাকা ঢের পুরোনো গভীর দুঃখ হঠাৎ যেন বৃষ্টিতে ধুয়ে মুছে ধূসর জীবনে রঙধনু এনে দেয়।
কিন্তু এখানে তো ট এবং ও বর্ণটিগুলো নেই।
ReplyDelete