১) কথায় আছে, স্বভাব যায় না মলে। আমার হয়েছে সেই দশা। এতবার করে কানে ধরে নাকে খত দিয়ে প্রতিজ্ঞা করেছি। যা করার একাই করবো। লোক ডাকাডাকি একটা অপচয়। তার পরেও সেই একই ভুল করলাম। বাল্টা!
২) গণিত শেখা দরকার। রিপ্রেজেন্টেশন থিওরী, ফাংশনাল অ্যানালাইসিস, টপোলজি। এই তিনটা জিনিশ না শিখলেই নয়। গণিত জানার সাথে আত্মবিশ্মাস সরাসরি সমানুপাতিক।
৩) "বিষয় পরিবর্তন" বিষয়ক লেখাটা লেখা হলো না। প্রোগ্রামিং নিয়েও লেখাটা শেষ হলো না। স্টেট ডিস্ক্রিমিনেশন এর উপর নতুন পেপারটাও লিখতে হবে। এক্সপ্যান্ডার গ্রাফ এর উপর এক্সপার্ট হয়ে যাওয়া দরকার। হাতে সময় দুই সপ্তাহ। প্রিন্স্টনের আইএএস এর প্রফেসর আভি উইগডারসনের লেখা পড়ে ভালো লাগলো। তার সঙ্গে কখনো যোগাযোগ হবে হয়তো।
৪) বুড়োদের দিয়ে হবে না। মুফতি, সিয়াম, এরা আমাকে হতাশ করেছে। ওদের কোনো দোষ নেই। অহেতুক বেশি, বেশি এক্সপেক্ট করার অপরাধটা আমারই। আমার শিক্ষা হওয়া দরকার। আনাম ভাইও কি পারবে? আশাবাদী হতে পারছি না।
৫) হাতের বড় প্রোজেক্টগুলো শেষ হওয়ার আগে আর কাউকে কিছু বলবো না। তবে "বাবা-মাদের জন্য কম্পিউটার বিজ্ঞান" আর কম্পিউটার প্রোগ্রামিং কেন "লিখ্তে-পড়তে" পারার মত জরুরী একটা স্কিল বিশেষ করে, নানান বিষয়ের গবেষক এবং ইঞ্জিনিয়ারদের জন্য, সেটা নিয়ে লিখলে মুক্তমনায় পোস্ট করবো। এগুলো যে কোনো বুক-চ্যাপ্টার সেটা চেপে যেতে হবে।
৬) আমি বুঝে গেছি, প্রোবাবিলিটি থিওরী নিয়ে বইটাও আমাকে লিখতে হবে।
৭) প্রতিদিন চাইলেই দুই ঘন্টা লেখালিখি করা যায়। আর উইকেন্ডে একটা দিন।
৮) বাচ্চাদের জন্য কিছু করা দরকার। কী করা যায় ভাবতে হবে।
৯) তাত্তিক পদার্থ বিজ্ঞান, তাত্তিক কম্পিউটার বিজ্ঞান বা গণিতের কোনো পেপার পড়তে গেলে, প্রতি পৃষ্ঠা ১ ঘন্টা করে লাগে। এ নিয়ে আগে মন খারাপ হতো। তবে রিসেন্টলি কয়েকজনকে জিজ্ঞেস করলাম। ওরাও বললো, ওদের এমন সময়ই লাগে। অতয়েব চিন্তার কিছু নেই। নিবিড় পাঠের ক্ষেত্রে ব্যাপারটা নরমাল।
১০) আজকাল বেশ পরিশ্রম করতে পারছি। পরিশ্রম আমাকে সুখী করছে...
No comments:
Post a Comment