সকালে উঠে পড়াশুনা করলাম কিছুক্ষণ। এরপর ব্রেকফাস্ট করে IQC তে গেলাম। সামার স্কুল। জেটল্যাগ হয়নি একদম। ক্লাসগুলোও ফলো করতে পেরেছি ঠিকঠাক। এটা কি বেশি বেশি ভেজিটেবল খাওয়ার কারণে? ব্যাপারটা ইনভেস্টিগেট করতে হবে। ক্লাস শেষে লাউঞ্জে বসে কাজ করছিলাম পেপার রিভিউটা নিয়ে। এখানে রুমগুলো ছোট, আর দেয়াল স্বচ্ছ হওয়ায় অস্বস্তিকর। তবে লাউঞ্জগুলো খুব সুন্দর। আলা নামের একটা ছেলের সাথে পরিচয় হলো। এখানকার মাস্টার্স ছাত্র। ও আমার জন্য পেপার প্রিন্ট করে দিলো।
Tuesday, July 30, 2013
Monday, July 29, 2013
কর্মকাণ্ড ২৬
সকালে উঠে খেয়েদেয়ে, রাঘবকে নিয়ে গেলাম আবার কেনাকাটায়। বই কিনলাম দুটো। বোরহেসের দ্য আলেফ। আর ব্রেভ নিউ ওয়ার্ল্ড। ডিস্টোপিয়ান সাইফাই গল্পের সংকলন। দেখা যাক কেমন হয়। এরপর রাতে প্লেনে উঠে রওনা দিলাম কানাডার পথে। দক্ষিণ কোরিয়ার সিউলের ইচিলন এআরপোর্টে ৫ ঘন্টার ট্রান্সিট ছিলো। বেঞ্চে ঘুমিয়েছি। তারপর আবার প্লেনে উঠে চলে এলাম। এন্টারটেইনমেন্ট সিস্টেমের মুভিগুলো ছিলো সব ক্র্যাপ। তাই গল্পের বই ই বেশি পড়া হয়েছে।
কর্মকাণ্ড ২৫
শুক্রবার সকালে, লোইক কে প্রেজেন্টেশনের ফাইনাল স্লাইডগুলো দেখালাম। সবকিছু ঠিকঠাক করা হলো। অবশ্য মৃদু ঘষামাজা বাকি এখনো। আজ কালের মধ্যে করে ফেলতে হবে। এর পর কেনাকাটা করলাম সন্ধ্যায়। ইশতিয়াকের সাথে গিয়ে ব্যাগ কিন্তে গিয়ে রাত ২ টা বাজলো। সঙ্গে টি-শার্ট কিনেছি।
Thursday, July 25, 2013
কর্মকান্ড ২৪
আজ কী করলাম? ঘুম থেকে উঠে গল্পের বই পড়াটা ইফিশিয়েন্ট হচ্ছে না। আধোঘুম আধো জাগরণে, অনেক বেশি সময় লাগে। এইটা আবিষ্কার করলাম আজ। কাপড় ধোয়া হলো। অফিসে আসতে আসতে ১ টা। খেয়ে দেয়ে বসলাম ছবি আঁকতে। স্লাইডের জন্য। কাজটা পেইন হয়ে যাইতেসে। লোইকের কথা না শুনে নিজের মত করলেই ভালো হতো। নিজের বুদ্ধিতে, ফকির হওয়াও ভালো। একটা ইন্টারেস্টিং সেমিনার অ্যাটেন্ড করলাম। কোয়ান্টাম সিস্টেম ব্যবহার করে থার্মোডাইনামিক্স এক্সপেরিমেন্ট। না ঘুমিয়ে, লেকচার শোনার উপায় আবিষ্কার করেছি। প্রতিটা কথা বুঝতে চেষ্টা করতে হবে অ্যাক্টিভলি। হাল ছাড়লেই ঘুম আসে।
কর্মকাণ্ড ২৩
গতকাল সাতার কাটলাম ১ কিলোমিটার। এ ছাড়া আর কী করেছি মনে পড়ছে না। ওহ, ডালের একটা গল্প পড়েছি। হিচহাইকার্স গাইডও পড়েছি খানিকটা। আর একটা গল্প বানিয়েছি। লেখা হয়নি অবশ্য। প্রেসার ম্যানেজমেন্ট নিয়ে সমস্যা হচ্ছে। এখন থেকে কোনো দায়িত্ব নিয়ে চাপ মনে হলে সরাসরি বলে দেব যে কাজটা আমি করবো না। অথবা, অফিসে বসে, এখন করি, তখন করি করে সময় নষ্ট করাটাও বাদ দিতে হবে। অল্প একটু কাজ করবো। বাকি সময় ইচ্ছে মত থাকবো। চাপ নিলে কিছু করতে পারি না।
Wednesday, July 24, 2013
কর্মকাণ্ড ২২
গতকাল একটা গল্প লিখেছি। শেষ গল্পটা লিখেছিলাম তিন বছরেরও বেশি সময় আগে। ০৫/০৩/২০১০ তে। নাম সুবর্ণভূমে। এই কারণে বেশ ভালো লাগছে। এছাড়া ইউজুয়াল কাজ কর্ম করা হয়েছে। স্লাইড, পড়াশুনা, বইরোদ দেওয়া, TIMC এইসব। তিন বছর আগে আমার কোনো সন্তান জন্ম হলে, তাকে এখন আগের গল্পগুলো শোনানো যেত। কত দীর্ঘ সময় হেলায় ফেলায় কাটালাম! আজ জেফ্রাঙ্কের একটা কথা ভালো লাগলো। সে তার বন্ধুদের ধন্যবাদ দিচ্ছে,
"Thank you for not hurting me, despite being in a position of being able to hurt me much more than most people could."-এটা বলে। আমি যাদেরকেই এই স্থানটা দিয়েছি, তারা কেউ তার মর্যাদা রাখতে পারেনি। এত পেইন যে খেয়েছি। ক্রাইম এন্ড পানিশমেন্ট টাইপের কালোতীর্ণ উপন্যাস লেখার রসদ জোগাড় হয়ে গেছে তাতে।
Tuesday, July 23, 2013
কর্মকাণ্ড ২১
গতকাল কী করলাম? হিচহাইকারস গাইড টু দ্য গ্যালাক্সি পড়া হলো। ইলাস্ট্রেটরে নতুন কিছু জিনিশ শিখলাম। TIMC শুনতে শুনতে রান্না করলাম। খিচুড়ি। সাঁতার কাটলাম ১ কিলোমিটার। ডেমো টক দিলাম। তার জন্য স্লাইড প্রিপেআর করলাম। এইতো, এভাবেই দিনটা কেটে গেল। বোঝাই যাচ্ছে, খুব একটা ভালো যাচ্ছে না দিনকাল।
Sunday, July 21, 2013
কর্মকাণ্ড ২০
এই ব্লগপোস্টগুলো যদি কেউ ফলো করে তাহলে তার জন্য কী দূর্ভাগ্যের ব্যাপারই না হবে! আমার বোরিঙঅস্য-বোরিং দিনযাপনের ফিরিস্তি কে পড়তে চায়? আজ সকালে উঠে হিচহাইকার পড়া হলো। মনে মনে আমার টকটার কিছু ব্যাপার গুছিয়ে নিলাম। সাঁতার কাটলাম প্রায় ১ কিলোমিটার। তারপর সারাদিন ঝিমানি, আর আড্ডাবাজি। নিলয় নন্দীর একটা গল্প পড়ে ভালো লেগেছে। টেড টক শুনেছি। TIMC শুনেছি। এইসব। পৃথিবীর সব স্কলার আমার মত অকর্মন্য হলে, সারা পৃথিবীটাই তৃতীয় বিশ্ব হয়ে থাকতো।
কর্মকাণ্ড ১৯
শনিবারে তেমন কোনো কাজ হয়নি। সন্ধ্যায় রাঘভ আর সুপার্থের সাথে হল্যান্ড ভিলেজ গেছিলাম। স্টিংরে মাছ খেলাম তারপর ফিরে এলাম ল্যাবে। হিচহাইকারস গাইড টু দ্য গ্যালাক্সি কিছুদূর পড়া হয়েছে অবশ্য। এ-ই। এমনকি এই পোস্টটা লেখার কথাও মনে ছিলো না।
Friday, July 19, 2013
কর্মকাণ্ড ১৮
খুব মেজাজ খারাপ। আজ (রবিবার) সুপার্থ থেকে জানতে পারলাম আমার ফেসবুক অ্যাকাউন্ট গত ২রা জুলাই থেকে অ্যাক্টিভেট হয়ে বসে আছে! ফাক!! সঙ্গে সঙ্গে ডিঅ্যাক্টিভেট করেছি।
সকালে, লোইকের টিউটোরিয়ালে আসলাম। কয়েন ফ্লিপিং প্রোটকল নিয়ে। আজ মাথাটা ভালো কাজ করেছে। খুবই আনন্দ লাগছে তাই। সম্ভবত গত কয়েকদিন তেমন কথাবার্তা বলিনি, এবং অঙ্ক করেছি এই কারণে। আজ গ্যালোয়া থিওরীর আরো কিছুদূর পড়লাম। তবে দিনের শেষভাগ একটু বোরিং কাটলো। সাঁতারে বের হলে ভালো হতো। "আমায় থাকতে দে না, আপন মনে আমা থাকতে দে না" রবীন্দ্রসঙ্গীতটা রবীন্দ্রণাথ কোন দুঃখ থেকে লিখেছেন সেটা অনুধাবন করতে পেরেছি। আজ গানটা শোনার সময় লোকটার জন্য মায়া লাগছিলো খুব।
সকালে, লোইকের টিউটোরিয়ালে আসলাম। কয়েন ফ্লিপিং প্রোটকল নিয়ে। আজ মাথাটা ভালো কাজ করেছে। খুবই আনন্দ লাগছে তাই। সম্ভবত গত কয়েকদিন তেমন কথাবার্তা বলিনি, এবং অঙ্ক করেছি এই কারণে। আজ গ্যালোয়া থিওরীর আরো কিছুদূর পড়লাম। তবে দিনের শেষভাগ একটু বোরিং কাটলো। সাঁতারে বের হলে ভালো হতো। "আমায় থাকতে দে না, আপন মনে আমা থাকতে দে না" রবীন্দ্রসঙ্গীতটা রবীন্দ্রণাথ কোন দুঃখ থেকে লিখেছেন সেটা অনুধাবন করতে পেরেছি। আজ গানটা শোনার সময় লোকটার জন্য মায়া লাগছিলো খুব।
Thursday, July 18, 2013
কর্মকাণ্ড ১৭
গতকাল মেধা বিষয়ক একটা লেখা লিখেছি। প্রায় ১১০০ শব্দের। ছোটোবোনদের নানান রকম জ্ঞান দেওয়ার উদ্দেশ্যে লেখা। আসলে এতদিন কি শিখলাম তার একটা সামারিও। বোনদের কাজে না লাগলেও আমার লাগবে। এরপর, অ্যালজ্যাব্রায়িক নাম্বার থিওরী, এবং গ্যালোয়া থিওরী নিয়ে পড়তে শুরু করেছি। মাথাটাকে শানিয়ে নেওয়া দরকার। আজ সকাল থেকে গণিত চর্চা করা হলো, আর আরেকটা আর্টিকেল লেখা হলো। অসফল পরিশ্রমি বিষয়ক ডিলেমা নিয়ে। ব্যপারটা আমাকে অনেকদিন ভাবিয়েছে। কেন কিছু মানুষ এত খাটাখাটনি করেও বুদ্ধিমান হয়ে ওঠে না। অবশেষে একটা সমাধান খুঁজে পেয়েছি। এবং অনেক শান্তি লাগছে। আইনস্টাইনের বইটা পড়তে শুরু করেছি। রিলেটিভিটি। আজ টেরি রুডল্ফ একটা লেকচার দিলো, ক্ল্যাসিক্যাল প্রোবাবিলিটি এবং কোয়ান্টাম প্রোবাবিলিটির শক্তির পার্থক্য নিয়ে। খুবই উপভোগ্য ছিলো। এবং অনেক ভাবিয়েছে। নেলী তার মাছগুলোর দায়িত্ব আবার দিয়ে দিয়েছে। ওর সাথে নিটশের বাণী, "Faith: not wanting to know the truth" নিয়ে আলাপ হলো। কার্ল সাগানের কসমস বইটা ধরিয়ে দিলাম ওকে। দেখা যাক। সাঁতারে যাবো।
Wednesday, July 17, 2013
কর্মকাণ্ড ১৬
আজ উঠলাম খুব ভোরে। মানে সোয়া সাতটায়। কানাডিয়ান হাইকমিশন থেকে পাসপোর্টটা উদ্ধার করলাম। ভিসা পেয়েছি। তার মানে এই মাসের শেষে ওয়াটারলুতে হাজির হবো। সঙ্গে ডেভিড মিচেলের থাউজেন্ড অটাম অফ জ্যাকব ডি জোয়েট ছিলো। পড়েছি পুরোটাপথ। এবং ক্যাম্পাসে ফেরার পরেও বইটা নামিয়ে রাখা অসম্ভব মনে হচ্ছিলো। ফলে পড়ে শেষই করে ফেললাম। ঘড়িতে ততক্ষণ বাজে বারোটা। আগের কদিন এই সময় বা তারও পরে বাসা থেকে বেরিয়েছি। আরেকবার মনে পড়ে গেল, সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠলে কর্মদিবস কত বড় হয়ে যায়।
Tuesday, July 16, 2013
কর্মকাণ্ড ১৫
আজ ঘুম থেকে উঠতে দেরী হয়েছে। কারণ গতকাল ঘুমাতে গেছি প্রায় ভোরে। গোলাম আজমের বিচারের রায় নিয়ে বিমর্ষ ছিলাম। এইসব চুদুর বুদুর দেখতে দেখতেই জীবন কাটবে। সকালে ডেভিড মিচেলের বইটা পড়েছি আরো কিছু দূর। আজ স্লাইড নিয়ে কিছুক্ষণ কাজ করলাম। তারপর ডেমো দিলাম লোইককে। বিকাল পাঁচটা বেজে গেছে প্রায়। আবারো মিচেলকে নিয়ে বসি...
Monday, July 15, 2013
স্কলার?
একজন স্কলার হওয়ার সব যোগ্যতা কি আমার আছে? এই প্রশ্নটা মাথায় ঘুরছে আজ কিছুদিন। ব্যাপারটা নিয়ে গুছিয়ে চিন্তা করা যাক। প্রথমে ভালো ব্যাপারগুলো।
- আমি ফাইলোম্যাথ। মানে জ্ঞানের প্রতি আমার প্রবল আকর্ষণ আছে। এবং সবসময় নতুন কিছু শিখতে চাই। চেষ্টা করি।
- কোনো কিছু নিয়ে চিন্তা করতে ভালো লাগে।
- নতুন কিছু বলতে, ভাবতে, করতে দ্বিধা করি না।
- অনেক ব্যাপারেই আমার একটা নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গি আছে।
- কোনো বড় তথ্যপ্রবাহ থেকে তার নির্জাসটা বের করে নিতে পারি।
- কোনো কিছু ব্যবহার করতে পারার চেয়ে উপলব্ধি করতে পারাটাকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ মনে করি। যেমন কোয়ান্টাম মেকানিক্স, লজিক, এপিস্টোমলজি এসব।
- মিউজিক থেকে শুরু করে, চিত্রকলা, সাহিত্য, বিজ্ঞান সবকিছুই উপভোগ করি।
- কায়িক পরিশ্রমে আলস্য থাকলেও, চিন্তায় আলস্য নেই।
- ফোকাস করতে পারি।
- আইডিয়া নিয়ে প্লেফুল
সুনির্দিষ্ট বিষয়কে ফোকাসে রেখে বড়মাপের কাজ করা, তার জন্য পাহাড়, সাগর পাড়ি দেওয়া, এই ধরনের একটা স্পিরিট নিজের ভিতরে আসছে না। এই যেমন Engelbert Kaempfer এর কথা পড়লাম। এদের মত মানুষ হতে কী লাগে? এটা ঠিক পিএইচডি থিসিস লিখতে গেলে এক রকম প্র্যাক্টিস হয়ে যাবে। কিন্তু তার অনেক দেরী। এর আগেই কিছু করা দরকার। একটা উপায় হতে পারে, ধীরে ধীরে ফোকাসের দৈর্ঘ্য বৃদ্ধি। মানে, ছোট থেকে শুরু করে ধীরে ধীরে বড় বড় প্রোজেক্ট করা।
কিন্তু আজকাল একটা সমস্যা হচ্ছে, নিজের প্ল্যান নিজে মেইন্টেইন করতে পারছি না। কী যে প্লান করেছি, একটা সময় পরে সেটাই যাই ভুলে। অন্য কিছু নিয়ে ছুটি তখন।
আজ একটা ভালো জিনিশ মাথায় এলো। কোনো একটা ইন্টারেস্টিং কাজ শুরু করে সেটা শেষ করার আগে ফোকাস হারায় মানুষ এই কারনে না, যে হঠাৎ করেই ফোকাসের ইঞ্জিন বন্ধ হয়ে যায়। বরং এই কারণে, যে অন্য কিছুকে হঠাৎ খুব আকর্ষণীয় মনে হতে থাকে। হয়তো পড়ছি টপোলজি, এর মধ্যে ইনফরমেশন থিওরী পড়তে ইচ্ছা জাগলো। একটা শেষ না করেই নতুনটা ধরলাম, এভাবেই অসম্পূর্ণতার পাহাড় তৈরি হয়।
আর, Our mind has a mind of itself. মনকে দিয়ে কাজ করিয়ে নিতে হলে তাই অনেক সময় কৌশলের আশ্রয় নিতে হয়। এই কৌশলটা পুরোপুরি আয়ত্ব করতে পারছি না।
কর্মকাণ্ড ১৪
আজ ঘুম থেকে উঠে, গল্পের বই পড়লাম কিছুক্ষণ। বাসায় ফোন দিয়ে লোচনকে পড়াশুনায় উৎসাহ দিলাম। তারপর হঠাৎ খুব লিখতে ইচ্ছে হলো। লিখে পোস্ট করতে করতে বিকাল সাড়ে তিনটা। এরপর গোলাম আজমের বিচারের রায় হলো। এই গণহত্যাকারীর ফাঁসি দিলো না আদালত। সবাই ক্ষুব্ধ-বিক্ষুব্ধ। এর মধ্যে আমার হালকা চালের লেখাটা খুব বেমানান লাগছিলো। ব্যক্তিগত ব্লগে সরিয়ে নিলাম তাই। অফিসে গিয়ে এর পর কিছু ডায়াগ্রাম আঁকলাম। কালকের জন্য একটা মিটিং রুম বুকিং দিলাম। তারপর ইউটাউনে এসে খেয়েদেয়ে আরো খানিকটা কাজ করে এই পোস্টটা লিখছি। বিমর্ষ লাগছে।
কর্মকাণ্ড ১৩
গতকাল গল্পের বই পড়লাম। ডেভিড মিচেলের জ্যাকব ডি জোয়েট। আসলেই অনবদ্য এক গল্প লিখেছে সে। এখনো শেষ হয়নি। তবে গল্পের প্রতি মোড়ে মোড়ে উত্তেজনা! এরকম গল্পই ভালো লাগে।
সাতার কেটেছি ৫০০ মিটার। এই তো, এসব ছাড়া তেমন কাজ হয়নি কোনো।
সাতার কেটেছি ৫০০ মিটার। এই তো, এসব ছাড়া তেমন কাজ হয়নি কোনো।
Saturday, July 13, 2013
কর্মকাণ্ড ১১
গতকাল কাজের মধ্যে একটা জিনিসই করেছি সেটা হলো কর্মকাণ্ড ১০ নামক পোস্টটা লেখা। আইনস্টাইনের লেখা বইটা পড়তে শুরু করেছিলাম কিন্তু জমলো না। TIMC শোনা হয়েছে। অভিষেকের সাথে পরিচয় হলো। সে ইকোনোমিক্সে পিএইচডি করেছে প্যারিস এ থাকে। এখানে এসেছে, ইন্টারভিউ দিতে। জব ইন্টারভিউ।
উকুলেলে বাজানো হলো খানিকটা। ইউটিউবে নানান রকম ভিডিও দেখলাম। তারপর ঘুম। বিশ্ব জয় করার আগে নিজেকে জয় করতে হয়। এই হলো গতকালের উপলব্ধি। কনসিস্টেন্টলি একটা নির্দিষ্ট কাজ করে যাওয়া দেখছি আমার পক্ষে বেশ কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। ডিস্ট্রাকশনে সাড়া দেই বেশি। বোনদেরকে চিঠি লিখতে বসেছিলাম। শেষ না করেই উঠে গেলাম।
একেকটা দিন এত অনুর্বর কাটছে!
উকুলেলে বাজানো হলো খানিকটা। ইউটিউবে নানান রকম ভিডিও দেখলাম। তারপর ঘুম। বিশ্ব জয় করার আগে নিজেকে জয় করতে হয়। এই হলো গতকালের উপলব্ধি। কনসিস্টেন্টলি একটা নির্দিষ্ট কাজ করে যাওয়া দেখছি আমার পক্ষে বেশ কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। ডিস্ট্রাকশনে সাড়া দেই বেশি। বোনদেরকে চিঠি লিখতে বসেছিলাম। শেষ না করেই উঠে গেলাম।
একেকটা দিন এত অনুর্বর কাটছে!
Friday, July 12, 2013
কর্মকাণ্ড ১০
গতকাল, ইলাস্ট্রেটরের কাজগুলো করে আপডেটেড টকটা ডেমো দিলাম। ছবি আঁকতে আঁকতে টক নিয়ে ভাবার সময় পাইনি। পুরো টকটা চিন্তাভাবনা করে ডিজাইন করতে হবে। TIMC (দ্য ইনফিনাইট মানকি কেইজ) এর সূত্রে দারুণ একটা কবিতার খোঁজ পেয়েছি। ম্যাসফিল্ডের Lollingdon downs
এই মহাবিশ্ব নিয়ে এত চমৎকার কবিতা আগে পড়িনি স্টেনজা ৫ তো অনবদ্য ব্রায়ান ব্লেসেডের আবৃত্তি খুব নাড়া দিয়ে গেল। এখানে এম্বেড করি,
গতকাল সাঁতার কাটলাম অনেক্ষণ। আর উকুলেলেটা বের করেছি আবার। একটা ফ্রী টিউনার অ্যাপ পেয়েছি।
স্কেচিং নিয়ে সিরিয়াসলি চিন্তা ভাবনা করছি।
আরো অনেক কিছু করা বাকি. . .
গতকাল সাঁতার কাটলাম অনেক্ষণ। আর উকুলেলেটা বের করেছি আবার। একটা ফ্রী টিউনার অ্যাপ পেয়েছি।
স্কেচিং নিয়ে সিরিয়াসলি চিন্তা ভাবনা করছি।
আরো অনেক কিছু করা বাকি. . .
Thursday, July 11, 2013
কর্মকাণ্ড ৯
স্পেস টুরিজম নিয়ে ইনফিনাইট মানকি কেইজের সাম্প্রতিক পর্বটা শুনতে শুনতে এলাম অফিসে। যথারীতি ১২ টার সময় পৌছলাম। সকালে কয়েকপাতা ডেভিড মিচেলের বইটা পড়েছি। এসে দূপুরের লাঞ্চ করলাম। তাপর বসেছি পাওয়ার পয়েন্ট অ্যানিমেশন, এবং ইলাস্ট্রেটর নিয়ে।
ইলাস্ট্রেটর টুলটা দারুণ লাগলো। কিছু আঁকিবুকি করতে হবে এটাতে। বিশেষ করে ভেক্টর টাইপোগ্রাফি।
যে ছবিটা একে সবচেয়ে বেশি শিখেছি সেটা এখানে অ্যাটাচ করছি।
এরপর স্লাইডের জন্য কিছু জ্যামিতিক ছবি আঁকতে বসলাম। সেই আঁকিবুকি করতে করতে রাত ১১ টা বেজে গেল। ফিরলাম বাড়ি। অ্যাডবি ইলাস্ট্রেটরের প্রেমে পড়ে গেছি।
ইলাস্ট্রেটর টুলটা দারুণ লাগলো। কিছু আঁকিবুকি করতে হবে এটাতে। বিশেষ করে ভেক্টর টাইপোগ্রাফি।
যে ছবিটা একে সবচেয়ে বেশি শিখেছি সেটা এখানে অ্যাটাচ করছি।
An experiment with form |
Wednesday, July 10, 2013
কর্মকাণ্ড ৮
গতকাল কী করেছি সে প্রশ্নের চেয়ে কী করিনি সেটাই গুরুতর প্রশ্ন? প্রথমত, এই পোস্টটা গতকাল লেখার কথা ছিলো লিখিনি। সকালে ঘুম থেকে উঠতেই, তানিমের থেকে চন্দ্রিলের লেখার লিঙ্ক পেলাম। চন্দ্রবিন্দুর চন্দ্রিল। যে লিখেছিলো, "তোমাকে দেখাবো নায়াগ্রা, তোমাকে শেখাবো নায়াগ্রা"। সত্যিই মুগ্ধ হয়েছি পড়ে। তার রসবোধ, এবং বুদ্ধিমত্তার প্রসংশা করতেই হয়। "রস কষ সিঙ্গাডা বুলবুলি মস্তক" নামে তার একটা অনবদ্য বই আছে। (লিঙ্ক) বইটার প্রায় অর্ধেকটা পড়া হলো। আর পড়লাম গুরুচণ্ডালির এই আর্টিকেল টা। প্রেম নিয়ে। প+র+এ+ম+অ দারুণ লেখা। যেমন হাসায়, তেমন ভাবায়!
একসময় ইনফিনাইট মানকি কেইজ শুনতে শুনতে অফিসে এলাম। এই পর্বগুলো শুরুর দিককার। তখনও ব্রায়ান কক্স, আর রবিন ইঞ্চ অতটা ফ্লুয়েন্ট হয়ে পারেনি। এখনকার পর্বগুলো বেশি জোস হয়। অফিসে এসে সচলের কিছু পোস্ট পড়েছি। পড়ার বই খুলে কিছুক্ষণ ভাবনা চিন্তা করেছি, পড়বো কি পড়বো না এইসব। আইনস্টাইন এবং লিওপল্ড ইন্ফেল্ড এর লেখা একটা পপুলার সাইন্স বইয়ের খানিকটা পড়লাম। পপুলার সাইন্স বই লেখার ব্যাপারে নিজের আগ্রহ আরো বাড়লো। ইন ফ্যাক্ট ইনফিনাইট মানকি কেইজ এর গতকাল শোনা পর্বেও, পপুলার সাইন্স লেখা নিয়েই কথা উঠেছিলো। আমাদের দেশেও এখন পপুলার সাইন্সের একটা ভালো চাহিদা গড়ে উঠেছে। পাঠককে কেন বঞ্চিত করবো তাহলে?
একসময় সাতার কাটতে গেলাম। পুলের পানিতে, ক্লোরিন কম ছিলো। বাড়ি ফিরে গিয়ে, ডিমভাজি আর ভাত রাঁধলাম। আম দিয়ে দুধভাত খেলাম। ইশতিয়াকের সাথে বকরবকর করলাম ঋতুপর্ণঘোষের সিনেমা নিয়ে। তারপর ঘুম। দেখাই যাচ্ছে কাজের কাজ কিছু করিনি। মাথা খাটাতে শুরু করতে হবে আরো বেশি।
Monday, July 8, 2013
কর্মকাণ্ড ৭
দিনটা মোটামুটি গেল। সকালে উঠেই স্লাইডের বাকি কাজ শেষ করলাম। তারপর অফিসে রওনা। এসে ডেমো টক দিলাম। নিজেরই পছন্দ হলো না। অনেক কিছু আপডেট করতে হবে।
রিচুয়ালাইজেশন একটা কাজের জিনিস। এই সিরিজের পোস্টগুলোর পিছ্নে রিচুয়ালাইজেশনের তাড়া কাজ করছে। এখন যাবো, মুস্তফা। বিকাল হয়ে গেছে। রাত বাকি। দেখি কেমন কাটে। আরেকটু বেশি গণিত করতে পারলে ভালো হত। বসে বসে অনেক সময় নষ্ট করেছি আজকে।
রিচুয়ালাইজেশন একটা কাজের জিনিস। এই সিরিজের পোস্টগুলোর পিছ্নে রিচুয়ালাইজেশনের তাড়া কাজ করছে। এখন যাবো, মুস্তফা। বিকাল হয়ে গেছে। রাত বাকি। দেখি কেমন কাটে। আরেকটু বেশি গণিত করতে পারলে ভালো হত। বসে বসে অনেক সময় নষ্ট করেছি আজকে।
কর্মকাণ্ড ৬
গতকাল রাতে এমন ক্লান্ত হয়ে পড়েছিলাম, পোস্টটা লেখার আর উপায় ছিলো না। আজ সকালে উঠে তাই প্রথম কাজ এ লেখাটা।
গতকাল যথারীতি অনেক দেরী হয়েছে দিন শুরু করতে। ইনফিনাইট মানকি কেইজ শুনতে শুনতে, অফিসে গেলাম। রবিবার ছিলো। স্লাইডগুলো তখনো বানানো হয় নি। বাড়িতে ফোন দিয়ে লোচনকে উৎসাহ যোগালাম। বেচারির ভর্তিপরীক্ষা সামনে। এখনো মনে হয় ও গুরুত্বটা অনুধান করতে পারছে না। বাড়ির প্লান নিয়ে কিছু কথাবার্তা হলো বাঁধনের সাথে। এরপর এক সময় ব্যাটল স্টেশনে চলে এলাম অফিস ছেড়ে।
আর্কাইভ ঘাটতে গিয়ে অ্যান্টন জাইলিঞ্জারের চমৎকার একটা পেপার পেলাম "অক্সফোর্ড কোয়েশ্চেন"। পড়ে ভাল্লাগলো। শেষে বিকালের দিকে বসলাম স্লাইড নিয়ে। ক্রিয়েটিভিটি হচ্ছে হুইম্জিক্যাল মিস্ট্রেসের মত। নিজের পেপারটাই পড়লাম আবার। তারপর টকটা লিখে ফেললাম। কারণ, একটা গল্পের মত না ভাবলে স্লাইডগুলো কিসের পর কী আসবে ভেবে পাচ্ছিলাম না। ভেবেছিলাম স্লাইডগুলো শেষ করে ফেলবো। কিন্তু এক সময় মাথা আর কাজ করছিলো না। কোনো অ্যাকটা অ্যালার্ম সিস্টেমে ইরর, হয়ে বিদঘুটে একটা শব্দ হচ্ছিলো উচ্চ কম্পাঙ্কের। সেটার কারণেই, কারাপ লাগা শুরু হয়। এনিওয়ে। আর তিন চারটা স্লাইড বানাতে হবে। তাই আজ এই সকাল সকাল ওঠা।
গতকাল টুকটাক ব্যক্তিগত লেখালিখি করেছি। আর টানা কাজ করলাম প্রায় ৭ - ৮ ঘন্টা। যে কারণে, মনে এক ধরনের আনন্দ কাজ করছে। লোচনকে টানা কাজ করার কথা বলি। নিজেকেও সেটা করতে হবে। টেকনিক্যাল বই লেখার ব্যাপারেও এই ধরনের অ্যাপ্রোচ নেব। টানা কিচ্ছুক্ষণ চিন্তা ভাবনা করে, পুরো ফোকাসটা নিয়ে আসতে হবে যে বিষয়ে লিখতে চাচ্ছি তার উপর। তারপর এক সময় বসে লিখে ফেলতে হবে। শুরুতে অস্বস্তি লাগে। কিন্তু একটা সময় কাজ হয়ে যায় ঠিকই। সেই সঙ্গে, কর্মসম্পাদনের আনন্দ ফ্রী।
ওহ, গতকাল গিটার বাজিয়েছি কিছুক্ষণ আর ইয়ার ট্রেইনিংও করেছি মিনিট বিশেক।
গতকাল যথারীতি অনেক দেরী হয়েছে দিন শুরু করতে। ইনফিনাইট মানকি কেইজ শুনতে শুনতে, অফিসে গেলাম। রবিবার ছিলো। স্লাইডগুলো তখনো বানানো হয় নি। বাড়িতে ফোন দিয়ে লোচনকে উৎসাহ যোগালাম। বেচারির ভর্তিপরীক্ষা সামনে। এখনো মনে হয় ও গুরুত্বটা অনুধান করতে পারছে না। বাড়ির প্লান নিয়ে কিছু কথাবার্তা হলো বাঁধনের সাথে। এরপর এক সময় ব্যাটল স্টেশনে চলে এলাম অফিস ছেড়ে।
আর্কাইভ ঘাটতে গিয়ে অ্যান্টন জাইলিঞ্জারের চমৎকার একটা পেপার পেলাম "অক্সফোর্ড কোয়েশ্চেন"। পড়ে ভাল্লাগলো। শেষে বিকালের দিকে বসলাম স্লাইড নিয়ে। ক্রিয়েটিভিটি হচ্ছে হুইম্জিক্যাল মিস্ট্রেসের মত। নিজের পেপারটাই পড়লাম আবার। তারপর টকটা লিখে ফেললাম। কারণ, একটা গল্পের মত না ভাবলে স্লাইডগুলো কিসের পর কী আসবে ভেবে পাচ্ছিলাম না। ভেবেছিলাম স্লাইডগুলো শেষ করে ফেলবো। কিন্তু এক সময় মাথা আর কাজ করছিলো না। কোনো অ্যাকটা অ্যালার্ম সিস্টেমে ইরর, হয়ে বিদঘুটে একটা শব্দ হচ্ছিলো উচ্চ কম্পাঙ্কের। সেটার কারণেই, কারাপ লাগা শুরু হয়। এনিওয়ে। আর তিন চারটা স্লাইড বানাতে হবে। তাই আজ এই সকাল সকাল ওঠা।
গতকাল টুকটাক ব্যক্তিগত লেখালিখি করেছি। আর টানা কাজ করলাম প্রায় ৭ - ৮ ঘন্টা। যে কারণে, মনে এক ধরনের আনন্দ কাজ করছে। লোচনকে টানা কাজ করার কথা বলি। নিজেকেও সেটা করতে হবে। টেকনিক্যাল বই লেখার ব্যাপারেও এই ধরনের অ্যাপ্রোচ নেব। টানা কিচ্ছুক্ষণ চিন্তা ভাবনা করে, পুরো ফোকাসটা নিয়ে আসতে হবে যে বিষয়ে লিখতে চাচ্ছি তার উপর। তারপর এক সময় বসে লিখে ফেলতে হবে। শুরুতে অস্বস্তি লাগে। কিন্তু একটা সময় কাজ হয়ে যায় ঠিকই। সেই সঙ্গে, কর্মসম্পাদনের আনন্দ ফ্রী।
ওহ, গতকাল গিটার বাজিয়েছি কিছুক্ষণ আর ইয়ার ট্রেইনিংও করেছি মিনিট বিশেক।
Sunday, July 7, 2013
কর্মকাণ্ড ৫
গতকাল পোস্টটা মিস গেছে। তাই এখনই লিখি।
ভেবেছিলাম। স্লাইড বানানোর কাজ করব কিন্তু তেমন কিছুই করিনি গতকাল। ঘুম থেকে উঠতে উঠতে যথারীতি ১১ টা। এরপর বাইরে গেলাম নাস্তা করতে। একসময় কিছু কেনাকাটা করা হলো। রাইস কুকার, পরাটা এইসব। এইসব ভেজে খেয়ে, একটা ইনফিনাইট মানকি কেজ শুনে আর ডেভিড মিচেলের উপন্যাসটার খানিকটা পড়েই কেটে গেল দিন। রাতে ডেস্পিকেবল মি ২ দেখলাম। খুবই উপভোগ্য অ্যানিমেশন ফিল্ম। আরো অনেক কিছু করা যেত। এক রকম অপচয়ই হয়ে গেল দিনটা।
ভেবেছিলাম। স্লাইড বানানোর কাজ করব কিন্তু তেমন কিছুই করিনি গতকাল। ঘুম থেকে উঠতে উঠতে যথারীতি ১১ টা। এরপর বাইরে গেলাম নাস্তা করতে। একসময় কিছু কেনাকাটা করা হলো। রাইস কুকার, পরাটা এইসব। এইসব ভেজে খেয়ে, একটা ইনফিনাইট মানকি কেজ শুনে আর ডেভিড মিচেলের উপন্যাসটার খানিকটা পড়েই কেটে গেল দিন। রাতে ডেস্পিকেবল মি ২ দেখলাম। খুবই উপভোগ্য অ্যানিমেশন ফিল্ম। আরো অনেক কিছু করা যেত। এক রকম অপচয়ই হয়ে গেল দিনটা।
Friday, July 5, 2013
কর্মকাণ্ড ৪
যথারীতি, ঘুম থেকে উঠতে দেরী হয়ে গেল। তারপর, মিচেলের বইটার কয়েক চ্যাপ্টার পড়লাম। অফিসে এসে, কী করি, কী করি করতে করতে মনে পড়লো, জিআরপি রিপোর্ট বিষয়ে স্কুল অফ কম্পিউটিং এ যোগাযোগ করার কথা। সেইসব মেইল চালাচালির ফাঁকে, ইয়ার ট্রেইনিং এর একটা চমৎকার সাইট খুঁজে পেলাম। স্লাইডগুলোতে কিছু কনটেন্ট যোগ করলাম। জিআরপি রিপোর্ট লিখতে শুরু করলাম। আর সুপারভাইজরকে আপডেট জানালাম সবকিছুর। বেলা বাজে দুপুর ৩:৩০। অফিসে আসার পথে ইনফিনাইট মানকি কেইজের একটা পর্ব শুনেছি, ফিজিক্স বনাম কেমিস্ট্রি। আজকাল ফিজিক্স যেমন জনপ্রিয় হচ্ছে, কেমিস্ট্রি তেমন হচ্ছে না। কেমিস্টদের উচিৎ পপুলারাইজেশন নিয়ে কিছু কাজ করা।
হ্যাপিনেস নিয়ে এই টকটা ভালো লাগলো -
হ্যাপিনেস নিয়ে এই টকটা ভালো লাগলো -
Thursday, July 4, 2013
কর্মকাণ্ড ৩
কী করলাম আজ!
সকালে উঠে অফিসে আসতে আসতে বেলা ১১ টা। আসার পথে ইনফিনাইট মানকি কেইজ শোনা হলো দেড়পর্ব। স্লাইড বানাতে শুরু করলাম, তারপর কীভেবে কোর্সেরার ক্রিপ্টোগ্রাফী কোর্সের পেন্ডিং লেকচারগুলো শুনতে শুরু করলাম। পড়ার একটা মুড এসে গেছিলো। এসময় গেলাম গ্রুপ মিটিং এ। ভালোই কাটছিলো, কিন্তু আমার পালা আসলে পরে অতুল কিছু প্রশ্ন করলো। ওর প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে একগাদা বক বক করলাম। এবং, তখনই, রেশটা কেটে গেল। আমি খেয়াল করেছি, কথা বললে আমার উদ্দিপনা নাশ হয়। একটা কল্পবিজ্ঞান গল্পের প্লটও মাথায় এসেছিলো। কোনো বস্তু জীবিতি কী মৃত, সে বিষয়ে। এটা লেখার মুডও চলে গেল। যাই হোক, দুপুরের খাওআ দাওয়া শেষে, বসলাম কোর্সেরা নিয়ে। প্রায় ১ ঘন্টার লেকচার বাকি ছিলো। তারপ পরীক্ষা দিলাম। ৮.৪৫ এর মধ্যে পেয়েছি ৮.১০। স্রেফ বেখেয়ালে ০.৩৫ মার্ক্স হারালাম। তবে কোর্সটা খুবই ইন্টারেস্টিং। কিছুটা উদ্দিপনা পুনরুদ্ধার হলো এসব করে। তারপর আবার বিকালের খাওয়ার সময় হয়ে গেল! ফিরে এসে, বসলাম একটা এনক্রিপ্টেড মেসেজ ডিক্রিপ্ট করতে। এবং এটা করতে গিয়েই অবাক হয়ে লক্ষ্য করলাম, সিম্পল সি কোড লিখতে গিয়ে লাখ লাখ বাগ হয়ে যাচ্ছে! সব ডিবাগিং করার পরে, দেখা গেল, যেভাবে ডিক্রিপ্ট করতে চাচ্ছি, সেটাই ভুল। ঘড়িতে সময় রাত ৯টা ১৭। তেমন কিছু না করেই দিনটা এভাবে শেষ হয়ে গেল।
সকালে উঠে অফিসে আসতে আসতে বেলা ১১ টা। আসার পথে ইনফিনাইট মানকি কেইজ শোনা হলো দেড়পর্ব। স্লাইড বানাতে শুরু করলাম, তারপর কীভেবে কোর্সেরার ক্রিপ্টোগ্রাফী কোর্সের পেন্ডিং লেকচারগুলো শুনতে শুরু করলাম। পড়ার একটা মুড এসে গেছিলো। এসময় গেলাম গ্রুপ মিটিং এ। ভালোই কাটছিলো, কিন্তু আমার পালা আসলে পরে অতুল কিছু প্রশ্ন করলো। ওর প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে একগাদা বক বক করলাম। এবং, তখনই, রেশটা কেটে গেল। আমি খেয়াল করেছি, কথা বললে আমার উদ্দিপনা নাশ হয়। একটা কল্পবিজ্ঞান গল্পের প্লটও মাথায় এসেছিলো। কোনো বস্তু জীবিতি কী মৃত, সে বিষয়ে। এটা লেখার মুডও চলে গেল। যাই হোক, দুপুরের খাওআ দাওয়া শেষে, বসলাম কোর্সেরা নিয়ে। প্রায় ১ ঘন্টার লেকচার বাকি ছিলো। তারপ পরীক্ষা দিলাম। ৮.৪৫ এর মধ্যে পেয়েছি ৮.১০। স্রেফ বেখেয়ালে ০.৩৫ মার্ক্স হারালাম। তবে কোর্সটা খুবই ইন্টারেস্টিং। কিছুটা উদ্দিপনা পুনরুদ্ধার হলো এসব করে। তারপর আবার বিকালের খাওয়ার সময় হয়ে গেল! ফিরে এসে, বসলাম একটা এনক্রিপ্টেড মেসেজ ডিক্রিপ্ট করতে। এবং এটা করতে গিয়েই অবাক হয়ে লক্ষ্য করলাম, সিম্পল সি কোড লিখতে গিয়ে লাখ লাখ বাগ হয়ে যাচ্ছে! সব ডিবাগিং করার পরে, দেখা গেল, যেভাবে ডিক্রিপ্ট করতে চাচ্ছি, সেটাই ভুল। ঘড়িতে সময় রাত ৯টা ১৭। তেমন কিছু না করেই দিনটা এভাবে শেষ হয়ে গেল।
Wednesday, July 3, 2013
কর্মকাণ্ড ২
আজকের দিনটা ভালো গেল না। কানাডার ভিসার জন্য কাগজ পত্র জমা দিলাম। সেজন্য বেশ সকালে উঠতে হয়েছে। এরপর অবধারিত ভাবেই ঝিমাতে ঝিমাতে কেটেছে সারা সকাল। ওয়াট্রাসের নোট গুলো নিয়ে বসেছিলাম। কিন্তু মাথা কাজ করেনি তেমন। এর পর, সেট নিয়ে লিখতে বসি। যেটা মোটামুটি কাজে লেগেছে।
অফিসে নতুন বুকসেল্ফ কেনা হয়েছে। টেবিল থেকে তাই বই পত্র গুলো শেল্ফের এক তাকে উঠালাম। টেবিলটা মোছামুছি করলাম। শাফায়েত ICPC এর লাইভ স্কোর বোর্ডের লিঙ্ক দিলো। সারাদিন ওটা ফলো করছিলাম শেষে পুরস্কার বিতরনী অনুষ্ঠান দেখলাম। ITMO চ্যাম্পিয়ন হলো। ওদের দলে tourist নামের একজন প্রডিজি আছে। বুয়েট তিনটা আর শাহজালাল ১ টা সমাধান করেছে। তবে এখন আর এত অল্পতে সন্তুষ্ট হতে পারি না। আমাদের ছেলে-মেয়েরা কবে যে, ফাইনালেও আটটা দশটা সমাধান করতে শিখবে।
এইতো, এসব ছাড়া তেমন কোনো কাজ হয়নি। স্লাইড বানানোর কাজটা আজও হলো না। একগাদা ইউটিউব ভিডিও দেখা হলো অবশ্য। ইনফিনাইট মানকি কেইজ এর দুটো পর্ব শুনলাম।
অভিজিৎ দার লেখাটা পড়লাম মুক্তমনায়। তার কোনো লেখা পড়লেই আমার মনে হয়, কবে যে এমন করে লিখতে পারবো!
যথেষ্ট কাজ না করলে কেমন যেন ডিপ্রেশন ভর করে। ডিপ্রেস্ড লাগছে।. . .
অফিসে নতুন বুকসেল্ফ কেনা হয়েছে। টেবিল থেকে তাই বই পত্র গুলো শেল্ফের এক তাকে উঠালাম। টেবিলটা মোছামুছি করলাম। শাফায়েত ICPC এর লাইভ স্কোর বোর্ডের লিঙ্ক দিলো। সারাদিন ওটা ফলো করছিলাম শেষে পুরস্কার বিতরনী অনুষ্ঠান দেখলাম। ITMO চ্যাম্পিয়ন হলো। ওদের দলে tourist নামের একজন প্রডিজি আছে। বুয়েট তিনটা আর শাহজালাল ১ টা সমাধান করেছে। তবে এখন আর এত অল্পতে সন্তুষ্ট হতে পারি না। আমাদের ছেলে-মেয়েরা কবে যে, ফাইনালেও আটটা দশটা সমাধান করতে শিখবে।
এইতো, এসব ছাড়া তেমন কোনো কাজ হয়নি। স্লাইড বানানোর কাজটা আজও হলো না। একগাদা ইউটিউব ভিডিও দেখা হলো অবশ্য। ইনফিনাইট মানকি কেইজ এর দুটো পর্ব শুনলাম।
অভিজিৎ দার লেখাটা পড়লাম মুক্তমনায়। তার কোনো লেখা পড়লেই আমার মনে হয়, কবে যে এমন করে লিখতে পারবো!
যথেষ্ট কাজ না করলে কেমন যেন ডিপ্রেশন ভর করে। ডিপ্রেস্ড লাগছে।. . .
Tuesday, July 2, 2013
কর্মকাণ্ড ১
আজ সারাদিন তেমন কোনো কাজ করিনি। আবার করেছিও। কানাডা ভিসার জন্য ডকুমেন্টগুলো প্রস্তুত করলাম। কত কিছু যে লাগে! যাই হোক,আশাকরি সময় মত পেয়ে যাবো। বিশেষ করে ব্যাঙ্ক ড্রাফ্ট করার ব্যাপারটা এবার কম ঝামেলায় হলো। কারণ ডিবিএস এনইউএস এর মধ্যেই একটা শাখা খুলেছে। একটা চেকলিস্ট ধরে ধরেই সব জোগাড় করেছি। এখন চেকলিস্টটা আবার প্রিন্ট করে টিক মেরেটেরে একটা ফাইনাল ভার্সন তৈরি করতে হবে। ভিসার কাগজ জমা দিতে হয় সকাল ৮ঃ৩০ থেকে ৯ঃ৩০ এর মধ্যে। শেষ কবে এত সকালে ঘুম থেকে উঠেছি মনে করতে পারছি না।
আজ সারাদিন বেশ কিছু ব্লগ পড়া হলো। মূলত সচলায়তনে। এ ছাড়া ইউটিউবে ভিডিও দেখলাম স্মার্টার এভ্রি ডে এর। বুঝতে পারলাম, আশেপাশের লোকজন এত বোরিং কেন তা নিয়ে মাথা না ঘামিয়ে ইন্টারেস্টিং কী কী করতে মন চাচ্ছে সেসব করতে থাকাটাই শ্রেয়। চাইলে শেয়ার করা যায়। ব্যাস। সঙ্গ একটা বড় ফ্যাক্টর, প্রাণশক্তিহীন লোকের সাথে বাইডিরেকশনাল যোগাযোগ রাখলে, নিজের প্রাণশক্তি নিঃশেষ হতে থাকে। তবে, ইউনিডিরেকশনাল যোগাযোগ রাখা যেতে পারে। মানে আমি কি করছি না করছি, কীভাবছি না ভাবছি, সেসব সম্পর্কে সহজেই হয়তো তেমন কেউ জানতে পারলো। এতে ক্ষতি নেই। কিন্তু অপরদিকের যোগাযোগ এড়িয়ে যেতে হবে। কোনো পাঠক এই লেখাংশ পড়ে ব্যাপারটা রূঢ় ভাবতে পারেন। কিন্তু আমি গত তিন চার বছরের এক্সপেরিমেন্টের থেকে বলছি। হ্যা অনেক মানুষের উপর এক্সপেরিমেন্ট করিনি। কিন্তু নিজের উপর করেছি, অনেক অনেক বার। দেখা গেছে, ডিপ্রেস্ট, প্রানশক্তিহীন, নেগেটিভ, এই ধরনের মানুষের সাথে মিশে বার বার ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছি। এটা সবমানুষের জন্য সার্বিক সত্য তা বলতে পারি না। কিন্তু আমার জন্য সত্য তা বলার মত, যথেষ্ট ইভিডেন্স আমি পেয়েছি এইসব নীরিক্ষা থেকে।
এছাড়া ইনফিনাইট মানকি কেইজ এর একটা পর্ব শুনলাম। এখন বাসায় ফিরতে ফিরতে রাস্তায়, হয়তো আরেকটা পর্ব শুনবো। প্রতিদিন কিছু লিখতে হবে। এখন থেকে অন্তত প্রতিদিন কী করলাম না করলাম এক ফাকে লিখে ফেলার চেষ্টা করবো।
আজ, মিশরীয় এক বালিকার সাথে পরিচয় হলো, নাম আইয়া। সে গণিত এবং পদার্থবিজ্ঞানে মেজর। কেবলই আন্ডারগ্রাড শেষ করেছে। এখানে এসেছে মিক্লস এর গ্রুপে ইন্টার্ণ হিসাবে। জিজ্ঞেস করলাম মিক্লস তো কম্পিউটার সাইন্সে কাজ করে, তুমি তাহলে ওর কাছে কেন? উত্তরে জানা গেল তার কম্পিউটার সাইন্সে মাইনরও আছে। আহারে যদি ওর মত কোনো ইউনিভার্সিটিতে পড়তে পারতাম।
ল্যাবে আরেকটা মেয়ে এসেছে নাম ক্যাথরিন, নাকি ক্রিস্টিনা মনে করতে পারছি না এখন। সেও ম্যাথ এ মেজর। আমার সুপারভাইজরের সাথে ইন্টার্ণ করবে। ওর অরিজিন, রোমানিয়া। পড়াশুনা করছে কেমব্রিজে।
আজ গ্রুপের ওয়েবসাইটেও টুকটাক পরিবর্তন করলাম। এবং প্রতিদিন লিখবো, সেই সিদ্ধান্ত আরো জোরেশোরে নিয়ে ফেললাম। ক্যাফেইন এবং অ্যালকোহল পরিত্যাগ করেছি। মাথার মধ্যে ঝি-ঝি ব্যারামটা ওসবে বেড়ে জায়।
কী দুর্ভাগ্য, আজকে সেভ করিনি, সকালে গোসল করিনি, একটা জামা পরেছি যেটা যে কেউ ঘর মোছার ত্যানা বলে ভুল করবে। পায়ে আমার সুবিখ্যাত, পৃথিবীর সবচেয়ে কুৎসিত দর্শন স্যান্ডেল। এমন অবস্থাতেই কি না দুটো নতুন বালিকার সাথে পরিচয় হলো!
আমার হাতের সময় ফুরিয়ে যাচ্ছে, কিছু কাজ আমাকে করতেই হবে। অফিসের কাজের মধ্যে কিউক্রিপ্ট-টক এর জন্য স্লাইড বানানো। আর রিসার্স প্রোপজাল লেখা। আর নিজের কাজের মধ্যে, লাইন ফাইন্ডিং অ্যালগরিদমটা প্রোগ্রাম করে ফেলা আর বিচ্ছিন্ন গণিত নিয়ে লিখতে বসা।
এখন অবশ্য বাসায় যাবো, ডকলাস অ্যাডাম্সের হিচহাইকারস গাইড টু দ্য গ্যালাক্সি কিনেছি, আর কিনেছি টেরিপ্রাচেড আর স্টিফেন বাক্স্টারের লেখা লং আর্থ। বড় বড় লেখকরা কলাবোরেট করে লিখলে কেমন আউটপুট আসে সেইটা নিয়েই কৌতূহল। পরে অবশ্য কোলাবরেশনের কৌশল নিয়েও ঘাটাঘাটি করব একটু আধটু।
মাইনুট ফিজিক্সের হেনরির ম্যান্ডোলিন বাজানো দেখে অভিভুত হয়েছি। আমার মিউজিক্যাল কর্মকান্ড শুরু করা দরকার। এনিওয়ে, সৃষ্টিশীলতার মূল শর্ত হলো, নিজের ভালোলাগা থেকে সবকিছু করা। অ্যাবসার্ডিটিকে ভয় না পাওয়া। এবং মনে করা, আমার কাছাকাছি রুচির কেউ এটা দেখবে। একেবারে ভিন্ন রুচির কাওকে আনন্দ দেবার জন্য কিছু লেখা আমার জন্য সম্ভব নয়। সেটা কৃত্রিম হবে। বিদঘুটে হবে। ব্যর্থ হবে। বমনউদ্রেগকারী হবে।
প্রতিদিন লিখতে চাই কিছু না কিছু। লেখালিখি বন্ধ করাটা ভুল হয়েছে। অ্যালান মূর অবশ্য ভালো কথা বলেছেন। নিজের লেখার একটা স্টাইল দাড়িয়ে গেলে, সেই স্টাইল ফেলে দিয়ে নতুন স্টাইলের খোঁজ করা উচিত। আমার লেখার একটা স্টাইল দাড়িয়ে গেছিলো। এবন সেই স্টাইলকে ভালোবাসে তেমন একটা পাঠক গোষ্ঠি দাড়িঁয়ে গেছিলো। প্রথম স্টাইলটা ছেড়ে আসতে গিয়ে আমার এই পাঠকদেরও ছেড়ে আসতে হয়েছে। ইন ফ্যাক্ট আমার ভুল হলো নতুন স্টাইল না খুঁজে, আমি লেখালিখিই বন্ধ করে দিয়েছিলাম। মাথায় গভীরতর চিন্তা আসছিলো না। সেটাও একটা কারণ। মূলত, পড়ছিলাম না তেমন কিছু সেই কারণে। এবং, পৃথিবীপালটএ দেবার একটা চিন্তা মাথায় ঢুকেছিলো।
এখন সিদ্ধান্তে এসেছি, আমি যদি স্রেফ মনের আনন্দেই লিখি। মানে পাঠককে শেখানোর, ইনস্পায়ার করার, ইত্যাদি ইত্যাদি মোটিভের কথা মনে না করে স্রেফ পাঠককে আনন্দ দেবার জন্য লিখি তাহলেই পাঠকের কাছে অনেক ভালো মেসেজ পৌছাবে। প্রথমত, জ্ঞ্যানের কথা যেকোনো প্রাবন্ধিকের থেকে শিখে নেওয়া যায়। দ্বিতীয়ত, আনন্দই সবচেয়ে বেশি দুর্লভ, এবং অর্থবহ জিনিস। আর নিজের প্রকৃতির উপর বিশ্বাস রাখা উচিত। আমি আনন্দের জন্য কিছু লিখলেও সেটাতে আমার অংশই থাকবে।
এনিওয়ে, গতি আর নৈপূণ্যের চর্চা বাড়াতে হবে। আমার হাতে সময় অল্প। এবন অনেক অনেক কিছু করার আছে। গল্প গুলো যে ইলাস্ট্রেট করতে চাই, সেটাও ভুললে চলবে না। গল্পটল্প লিখে সচলায়তনের প্রথম পাতায় না দিয়ে নিজের পাতায় দেব। এতে শুধু যারা খুঁজে পাবে তারাই পড়বে। যে খোঁজেনি, সে ঐ লেখা ডিজার্ভ করে না। এবং পড়লেও, পরের পলকেই ভুলে যাবে। উপভোগও করবে না তেমন।
মানুষের সামনে এসব এগিয়ে দেওয়া হলো তাদেরকে প্রোকাস্টিনেট করতে সাহায্য করা। তোমার লেখা ওভাবে পড়ে পড়ে, দিন শেষে সে আফসোসই করবে। অনেক সময় নষ্ট করলো ভেবে। কিন্তু যে ব্যক্তি, খুঁজে এসে পড়ছে সে সময় নষ্ট করছে ভাববে না। এবং দিন শেষে দারুণ কিছু জিনিস খুঁজে পেল ভেবে কৃতজ্ঞ থাকবে।
আমার ডিপ্রেশনকে দূরে রাখার একমাত্র উপায় হলো প্রচুর কাজ করা। ক্রিপ্টগ্রাফির যে কোর্স টা করছি, তার এক্সারসাইজগুলো করা হয়নি এখনো। পাইথনে কিছু কোড করার কথা। এইটা করলে, আবার আমার ওসিয়ারের জন্য কাজ শুরু করতে সুবিধা হবে। এ ছাড়া, সুবিনভাইয়ের সাইটের জন্য নতুন সমস্যাটা তৈরিকরে ফেলা দরকার। কনফিজিং নাম্বার নিয়ে। এ ছাড়া একটা এনকোডিং ডিকোডিং প্রবলেম দিতে চাচ্ছিলাম। দেখি ক্রিপ্টো, হোমওয়ার্ক থেকে ইনস্পায়ারেশন পাওয়া যায় কি না।
এখন প্রায় সোয়া-নয়টা বাজে। বাসায় ফিরতে দশটা বাজবে। ঘরদোর সাফ করে, রান্নাবান্না খাওয়া দাওয়া শেষ করে, তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে পড়তে হবে। থ্রি মেন ইন এ বোট টা পড়তে শুরু করা যায়।
আজ সারাদিন বেশ কিছু ব্লগ পড়া হলো। মূলত সচলায়তনে। এ ছাড়া ইউটিউবে ভিডিও দেখলাম স্মার্টার এভ্রি ডে এর। বুঝতে পারলাম, আশেপাশের লোকজন এত বোরিং কেন তা নিয়ে মাথা না ঘামিয়ে ইন্টারেস্টিং কী কী করতে মন চাচ্ছে সেসব করতে থাকাটাই শ্রেয়। চাইলে শেয়ার করা যায়। ব্যাস। সঙ্গ একটা বড় ফ্যাক্টর, প্রাণশক্তিহীন লোকের সাথে বাইডিরেকশনাল যোগাযোগ রাখলে, নিজের প্রাণশক্তি নিঃশেষ হতে থাকে। তবে, ইউনিডিরেকশনাল যোগাযোগ রাখা যেতে পারে। মানে আমি কি করছি না করছি, কীভাবছি না ভাবছি, সেসব সম্পর্কে সহজেই হয়তো তেমন কেউ জানতে পারলো। এতে ক্ষতি নেই। কিন্তু অপরদিকের যোগাযোগ এড়িয়ে যেতে হবে। কোনো পাঠক এই লেখাংশ পড়ে ব্যাপারটা রূঢ় ভাবতে পারেন। কিন্তু আমি গত তিন চার বছরের এক্সপেরিমেন্টের থেকে বলছি। হ্যা অনেক মানুষের উপর এক্সপেরিমেন্ট করিনি। কিন্তু নিজের উপর করেছি, অনেক অনেক বার। দেখা গেছে, ডিপ্রেস্ট, প্রানশক্তিহীন, নেগেটিভ, এই ধরনের মানুষের সাথে মিশে বার বার ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছি। এটা সবমানুষের জন্য সার্বিক সত্য তা বলতে পারি না। কিন্তু আমার জন্য সত্য তা বলার মত, যথেষ্ট ইভিডেন্স আমি পেয়েছি এইসব নীরিক্ষা থেকে।
এছাড়া ইনফিনাইট মানকি কেইজ এর একটা পর্ব শুনলাম। এখন বাসায় ফিরতে ফিরতে রাস্তায়, হয়তো আরেকটা পর্ব শুনবো। প্রতিদিন কিছু লিখতে হবে। এখন থেকে অন্তত প্রতিদিন কী করলাম না করলাম এক ফাকে লিখে ফেলার চেষ্টা করবো।
আজ, মিশরীয় এক বালিকার সাথে পরিচয় হলো, নাম আইয়া। সে গণিত এবং পদার্থবিজ্ঞানে মেজর। কেবলই আন্ডারগ্রাড শেষ করেছে। এখানে এসেছে মিক্লস এর গ্রুপে ইন্টার্ণ হিসাবে। জিজ্ঞেস করলাম মিক্লস তো কম্পিউটার সাইন্সে কাজ করে, তুমি তাহলে ওর কাছে কেন? উত্তরে জানা গেল তার কম্পিউটার সাইন্সে মাইনরও আছে। আহারে যদি ওর মত কোনো ইউনিভার্সিটিতে পড়তে পারতাম।
ল্যাবে আরেকটা মেয়ে এসেছে নাম ক্যাথরিন, নাকি ক্রিস্টিনা মনে করতে পারছি না এখন। সেও ম্যাথ এ মেজর। আমার সুপারভাইজরের সাথে ইন্টার্ণ করবে। ওর অরিজিন, রোমানিয়া। পড়াশুনা করছে কেমব্রিজে।
আজ গ্রুপের ওয়েবসাইটেও টুকটাক পরিবর্তন করলাম। এবং প্রতিদিন লিখবো, সেই সিদ্ধান্ত আরো জোরেশোরে নিয়ে ফেললাম। ক্যাফেইন এবং অ্যালকোহল পরিত্যাগ করেছি। মাথার মধ্যে ঝি-ঝি ব্যারামটা ওসবে বেড়ে জায়।
কী দুর্ভাগ্য, আজকে সেভ করিনি, সকালে গোসল করিনি, একটা জামা পরেছি যেটা যে কেউ ঘর মোছার ত্যানা বলে ভুল করবে। পায়ে আমার সুবিখ্যাত, পৃথিবীর সবচেয়ে কুৎসিত দর্শন স্যান্ডেল। এমন অবস্থাতেই কি না দুটো নতুন বালিকার সাথে পরিচয় হলো!
আমার হাতের সময় ফুরিয়ে যাচ্ছে, কিছু কাজ আমাকে করতেই হবে। অফিসের কাজের মধ্যে কিউক্রিপ্ট-টক এর জন্য স্লাইড বানানো। আর রিসার্স প্রোপজাল লেখা। আর নিজের কাজের মধ্যে, লাইন ফাইন্ডিং অ্যালগরিদমটা প্রোগ্রাম করে ফেলা আর বিচ্ছিন্ন গণিত নিয়ে লিখতে বসা।
এখন অবশ্য বাসায় যাবো, ডকলাস অ্যাডাম্সের হিচহাইকারস গাইড টু দ্য গ্যালাক্সি কিনেছি, আর কিনেছি টেরিপ্রাচেড আর স্টিফেন বাক্স্টারের লেখা লং আর্থ। বড় বড় লেখকরা কলাবোরেট করে লিখলে কেমন আউটপুট আসে সেইটা নিয়েই কৌতূহল। পরে অবশ্য কোলাবরেশনের কৌশল নিয়েও ঘাটাঘাটি করব একটু আধটু।
মাইনুট ফিজিক্সের হেনরির ম্যান্ডোলিন বাজানো দেখে অভিভুত হয়েছি। আমার মিউজিক্যাল কর্মকান্ড শুরু করা দরকার। এনিওয়ে, সৃষ্টিশীলতার মূল শর্ত হলো, নিজের ভালোলাগা থেকে সবকিছু করা। অ্যাবসার্ডিটিকে ভয় না পাওয়া। এবং মনে করা, আমার কাছাকাছি রুচির কেউ এটা দেখবে। একেবারে ভিন্ন রুচির কাওকে আনন্দ দেবার জন্য কিছু লেখা আমার জন্য সম্ভব নয়। সেটা কৃত্রিম হবে। বিদঘুটে হবে। ব্যর্থ হবে। বমনউদ্রেগকারী হবে।
প্রতিদিন লিখতে চাই কিছু না কিছু। লেখালিখি বন্ধ করাটা ভুল হয়েছে। অ্যালান মূর অবশ্য ভালো কথা বলেছেন। নিজের লেখার একটা স্টাইল দাড়িয়ে গেলে, সেই স্টাইল ফেলে দিয়ে নতুন স্টাইলের খোঁজ করা উচিত। আমার লেখার একটা স্টাইল দাড়িয়ে গেছিলো। এবন সেই স্টাইলকে ভালোবাসে তেমন একটা পাঠক গোষ্ঠি দাড়িঁয়ে গেছিলো। প্রথম স্টাইলটা ছেড়ে আসতে গিয়ে আমার এই পাঠকদেরও ছেড়ে আসতে হয়েছে। ইন ফ্যাক্ট আমার ভুল হলো নতুন স্টাইল না খুঁজে, আমি লেখালিখিই বন্ধ করে দিয়েছিলাম। মাথায় গভীরতর চিন্তা আসছিলো না। সেটাও একটা কারণ। মূলত, পড়ছিলাম না তেমন কিছু সেই কারণে। এবং, পৃথিবীপালটএ দেবার একটা চিন্তা মাথায় ঢুকেছিলো।
এখন সিদ্ধান্তে এসেছি, আমি যদি স্রেফ মনের আনন্দেই লিখি। মানে পাঠককে শেখানোর, ইনস্পায়ার করার, ইত্যাদি ইত্যাদি মোটিভের কথা মনে না করে স্রেফ পাঠককে আনন্দ দেবার জন্য লিখি তাহলেই পাঠকের কাছে অনেক ভালো মেসেজ পৌছাবে। প্রথমত, জ্ঞ্যানের কথা যেকোনো প্রাবন্ধিকের থেকে শিখে নেওয়া যায়। দ্বিতীয়ত, আনন্দই সবচেয়ে বেশি দুর্লভ, এবং অর্থবহ জিনিস। আর নিজের প্রকৃতির উপর বিশ্বাস রাখা উচিত। আমি আনন্দের জন্য কিছু লিখলেও সেটাতে আমার অংশই থাকবে।
এনিওয়ে, গতি আর নৈপূণ্যের চর্চা বাড়াতে হবে। আমার হাতে সময় অল্প। এবন অনেক অনেক কিছু করার আছে। গল্প গুলো যে ইলাস্ট্রেট করতে চাই, সেটাও ভুললে চলবে না। গল্পটল্প লিখে সচলায়তনের প্রথম পাতায় না দিয়ে নিজের পাতায় দেব। এতে শুধু যারা খুঁজে পাবে তারাই পড়বে। যে খোঁজেনি, সে ঐ লেখা ডিজার্ভ করে না। এবং পড়লেও, পরের পলকেই ভুলে যাবে। উপভোগও করবে না তেমন।
মানুষের সামনে এসব এগিয়ে দেওয়া হলো তাদেরকে প্রোকাস্টিনেট করতে সাহায্য করা। তোমার লেখা ওভাবে পড়ে পড়ে, দিন শেষে সে আফসোসই করবে। অনেক সময় নষ্ট করলো ভেবে। কিন্তু যে ব্যক্তি, খুঁজে এসে পড়ছে সে সময় নষ্ট করছে ভাববে না। এবং দিন শেষে দারুণ কিছু জিনিস খুঁজে পেল ভেবে কৃতজ্ঞ থাকবে।
আমার ডিপ্রেশনকে দূরে রাখার একমাত্র উপায় হলো প্রচুর কাজ করা। ক্রিপ্টগ্রাফির যে কোর্স টা করছি, তার এক্সারসাইজগুলো করা হয়নি এখনো। পাইথনে কিছু কোড করার কথা। এইটা করলে, আবার আমার ওসিয়ারের জন্য কাজ শুরু করতে সুবিধা হবে। এ ছাড়া, সুবিনভাইয়ের সাইটের জন্য নতুন সমস্যাটা তৈরিকরে ফেলা দরকার। কনফিজিং নাম্বার নিয়ে। এ ছাড়া একটা এনকোডিং ডিকোডিং প্রবলেম দিতে চাচ্ছিলাম। দেখি ক্রিপ্টো, হোমওয়ার্ক থেকে ইনস্পায়ারেশন পাওয়া যায় কি না।
এখন প্রায় সোয়া-নয়টা বাজে। বাসায় ফিরতে দশটা বাজবে। ঘরদোর সাফ করে, রান্নাবান্না খাওয়া দাওয়া শেষ করে, তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে পড়তে হবে। থ্রি মেন ইন এ বোট টা পড়তে শুরু করা যায়।
Subscribe to:
Posts (Atom)