একজন স্কলার হওয়ার সব যোগ্যতা কি আমার আছে? এই প্রশ্নটা মাথায় ঘুরছে আজ কিছুদিন। ব্যাপারটা নিয়ে গুছিয়ে চিন্তা করা যাক। প্রথমে ভালো ব্যাপারগুলো।
- আমি ফাইলোম্যাথ। মানে জ্ঞানের প্রতি আমার প্রবল আকর্ষণ আছে। এবং সবসময় নতুন কিছু শিখতে চাই। চেষ্টা করি।
- কোনো কিছু নিয়ে চিন্তা করতে ভালো লাগে।
- নতুন কিছু বলতে, ভাবতে, করতে দ্বিধা করি না।
- অনেক ব্যাপারেই আমার একটা নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গি আছে।
- কোনো বড় তথ্যপ্রবাহ থেকে তার নির্জাসটা বের করে নিতে পারি।
- কোনো কিছু ব্যবহার করতে পারার চেয়ে উপলব্ধি করতে পারাটাকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ মনে করি। যেমন কোয়ান্টাম মেকানিক্স, লজিক, এপিস্টোমলজি এসব।
- মিউজিক থেকে শুরু করে, চিত্রকলা, সাহিত্য, বিজ্ঞান সবকিছুই উপভোগ করি।
- কায়িক পরিশ্রমে আলস্য থাকলেও, চিন্তায় আলস্য নেই।
- ফোকাস করতে পারি।
- আইডিয়া নিয়ে প্লেফুল
সুনির্দিষ্ট বিষয়কে ফোকাসে রেখে বড়মাপের কাজ করা, তার জন্য পাহাড়, সাগর পাড়ি দেওয়া, এই ধরনের একটা স্পিরিট নিজের ভিতরে আসছে না। এই যেমন Engelbert Kaempfer এর কথা পড়লাম। এদের মত মানুষ হতে কী লাগে? এটা ঠিক পিএইচডি থিসিস লিখতে গেলে এক রকম প্র্যাক্টিস হয়ে যাবে। কিন্তু তার অনেক দেরী। এর আগেই কিছু করা দরকার। একটা উপায় হতে পারে, ধীরে ধীরে ফোকাসের দৈর্ঘ্য বৃদ্ধি। মানে, ছোট থেকে শুরু করে ধীরে ধীরে বড় বড় প্রোজেক্ট করা।
কিন্তু আজকাল একটা সমস্যা হচ্ছে, নিজের প্ল্যান নিজে মেইন্টেইন করতে পারছি না। কী যে প্লান করেছি, একটা সময় পরে সেটাই যাই ভুলে। অন্য কিছু নিয়ে ছুটি তখন।
আজ একটা ভালো জিনিশ মাথায় এলো। কোনো একটা ইন্টারেস্টিং কাজ শুরু করে সেটা শেষ করার আগে ফোকাস হারায় মানুষ এই কারনে না, যে হঠাৎ করেই ফোকাসের ইঞ্জিন বন্ধ হয়ে যায়। বরং এই কারণে, যে অন্য কিছুকে হঠাৎ খুব আকর্ষণীয় মনে হতে থাকে। হয়তো পড়ছি টপোলজি, এর মধ্যে ইনফরমেশন থিওরী পড়তে ইচ্ছা জাগলো। একটা শেষ না করেই নতুনটা ধরলাম, এভাবেই অসম্পূর্ণতার পাহাড় তৈরি হয়।
আর, Our mind has a mind of itself. মনকে দিয়ে কাজ করিয়ে নিতে হলে তাই অনেক সময় কৌশলের আশ্রয় নিতে হয়। এই কৌশলটা পুরোপুরি আয়ত্ব করতে পারছি না।
No comments:
Post a Comment