Monday, July 8, 2013

কর্মকাণ্ড ৬

গতকাল রাতে এমন ক্লান্ত হয়ে পড়েছিলাম, পোস্টটা লেখার আর উপায় ছিলো না। আজ সকালে উঠে তাই প্রথম কাজ এ লেখাটা।

গতকাল যথারীতি অনেক দেরী হয়েছে দিন শুরু করতে। ইনফিনাইট মানকি কেইজ শুনতে শুনতে, অফিসে গেলাম। রবিবার ছিলো। স্লাইডগুলো তখনো বানানো হয় নি। বাড়িতে ফোন দিয়ে লোচনকে উৎসাহ যোগালাম। বেচারির ভর্তিপরীক্ষা সামনে। এখনো মনে হয় ও গুরুত্বটা অনুধান করতে পারছে না। বাড়ির প্লান নিয়ে কিছু কথাবার্তা হলো বাঁধনের সাথে। এরপর এক সময় ব্যাটল স্টেশনে চলে এলাম অফিস ছেড়ে।
আর্কাইভ ঘাটতে গিয়ে অ্যান্টন জাইলিঞ্জারের চমৎকার একটা পেপার পেলাম "অক্সফোর্ড কোয়েশ্চেন"। পড়ে ভাল্লাগলো। শেষে বিকালের দিকে বসলাম স্লাইড নিয়ে। ক্রিয়েটিভিটি হচ্ছে হুইম্জিক্যাল মিস্ট্রেসের মত। নিজের পেপারটাই পড়লাম আবার। তারপর টকটা লিখে ফেললাম। কারণ, একটা গল্পের মত না ভাবলে স্লাইডগুলো কিসের পর কী আসবে ভেবে পাচ্ছিলাম না। ভেবেছিলাম স্লাইডগুলো শেষ করে ফেলবো। কিন্তু এক সময় মাথা আর কাজ করছিলো না। কোনো অ্যাকটা অ্যালার্ম সিস্টেমে ইরর, হয়ে বিদঘুটে একটা শব্দ হচ্ছিলো উচ্চ কম্পাঙ্কের। সেটার কারণেই, কারাপ লাগা শুরু হয়। এনিওয়ে। আর তিন চারটা স্লাইড বানাতে হবে। তাই আজ এই সকাল সকাল ওঠা।

গতকাল টুকটাক ব্যক্তিগত লেখালিখি করেছি। আর টানা কাজ করলাম প্রায় ৭ - ৮ ঘন্টা। যে কারণে, মনে এক ধরনের আনন্দ কাজ করছে। লোচনকে টানা কাজ করার কথা বলি। নিজেকেও সেটা করতে হবে। টেকনিক্যাল বই লেখার ব্যাপারেও এই ধরনের অ্যাপ্রোচ নেব। টানা কিচ্ছুক্ষণ চিন্তা ভাবনা করে, পুরো ফোকাসটা নিয়ে আসতে হবে যে বিষয়ে লিখতে চাচ্ছি তার উপর। তারপর এক সময় বসে লিখে ফেলতে হবে। শুরুতে অস্বস্তি লাগে। কিন্তু একটা সময় কাজ হয়ে যায় ঠিকই। সেই সঙ্গে, কর্মসম্পাদনের আনন্দ ফ্রী।

ওহ, গতকাল গিটার বাজিয়েছি কিছুক্ষণ আর ইয়ার ট্রেইনিংও করেছি মিনিট বিশেক। 

No comments:

Post a Comment